কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিন পাতার সুইসাইট নোট। ছত্রে ছত্রে মানসিক যন্ত্রণা। বাবা-মায়ের প্রতি অভিমান। একাকীত্ব। দূরত্ব। সফল হওয়ার চাপ। সব মিলিয়ে তালগোল পাকানো জীবন। জিডি বিড়লার দশম শ্রেণির কৃতী ছাত্রীর জীবনকে হাতড়ে চলার কাহিনি রয়েছে ওই তিন পাতাতেই। মৃত্যু হয়ে উঠেছিল তাঁর মুক্তির পথ। 


জিডি বিড়লার শৌচালয়ে উদ্ধার হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। রক্তাক্ত হাত। মুখে প্লাস্টিক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন পাতার সুইসাইড নোট। সূত্রের খবর, চোস্ত ইংরেজিতে জীবনের একাকীত্ব, অভিমান, মানসিক যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছে ওই ছাত্রী। মৃত্যু উপত্যকায় হারিয়ে যাওয়ার আগে সে লিখে গিয়েছে, রূঢ় বাস্তবের আখ্যান। যে আখ্যান বেদনাদায়ক। যে আখ্যান মর্মস্পর্শী। যে আখ্যান মানসিক বিপর্যয়ের। যে আখ্যান ভিড়ের মাঝে একাকীত্বের। যে আখ্যান সফল হওয়ার উদগ্র চাপের কাছে নতিস্বীকারের। যে আখ্যান স্বপ্নের অপমৃত্যুর।                   



সূত্রের খবর, চিঠির শুরুতেই বাবা-মার সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কথা লিখেছে ওই ছাত্রী। সে আর পারছিল না। এর আগেও মেট্রো স্টেশনে গিয়েছিল আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে। কিন্তু পারেনি। সে লিখেছে, এই চিঠি যেন সংবাদমাধ্যমের হাতে না যায়। তাকে যেন সুন্দর শেষ বিদায় দেওয়া হয়। তার মৃত্যু নিয়ে মাতামাতি হোক, সে চায় না। বিদায় দেওয়া হোক তাকে। 


তবে চিঠিটির উপসংহার বোধহয় কয়েকটা শব্দেই সে বর্ণনা করে গিয়েছে, 'যদি এটা মনে করতে কষ্ট হয় তোমাদের, আমি আত্মহত্যা করেছি। তাহলে নিজেদের বুঝিও আমাকে খুন করা হয়েছে। কে বলবে আমি খুন হইনি?' 


ফার্স্ট হতে হবে। বন্ধুদের চেয়ে বেশি নম্বর আনতে হবে। কৈশোরের বেপরোয়া উচ্ছ্বলতা, বাঁধনছাড়া হুল্লোড়ের খুন হচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়, প্রতি সেকেন্ডে! 


আরও পড়ুন- ঊষসীকাণ্ড: অভিযোগ এলে কী করতে হবে? থানায় থানায় পাঠানো হল নির্দেশিকা