নিজস্ব প্রতিবেদন : বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। শহরতলি থেকে শহর কলকাতায় আসায় অন্যতম 'লাইফলাইন'। কিন্তু সেই 'লাইফলাইন'-ই থমকে গিয়েছে। আর 'লাইফলাইন' থমকাতেই কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। ১০ মিনিটের পথ পেরতে লাগছে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের চূড়ান্ত। এর কারণ একটাই। বর্ষার শুরুতেই বেহাল দশা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় সর্বত্রই বড় বড় গর্ত। কোথাও সেই গর্ত ৮ ইঞ্চি চওড়া তো কোথাও ৬ ইঞ্চি। এয়ারপোর্ট ৩ নম্বর-এর ব্রিজের দুদিকের মুখের রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিশাল বিশাল গর্ত। আর সেই গর্তে জল জমে ওই এলাকা কার্যত ছোটোখাটো 'ডোবার' আকার নিয়েছে। ছোটো গাড়ি সেই গর্তে পড়লে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবু প্রাণ হাতে নিয়েই চলছে যাতায়াত।


শহরতলি থেকে এয়ারপোর্ট, কৈখালি, চিনারপার্ক, রাজারহাট, নিউটাউন, সেক্টর ফাইভ পৌঁছনোর সবচেয়ে সহজ পথ এই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। রোজ এই রাস্তা ধরে যাতায়াত হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু বর্ষা শুরু হতেই সেই রাস্তা হয়ে উঠেছে 'দুর্গম' ও 'বিভীষিকাময়'। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের।



যে দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বিধায়কের গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সও। বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার তিনি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে চিঠি দিয়েছেন। তবে এখনও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।


পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন সেই ব্যাপারে উদাসীন। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধু বিধায়কের গাড়ি নয়, অসুস্থ মানুষকে নিয়ে যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে দেখা যায় অ্যাম্বুল্যান্সকেও।


আরও পড়ুন, শহরের রাস্তায় বেলাগাম গতিতে লাগাম টানতে ‘ব্যর্থ’ কলকাতা পুলিস এবার আরও কড়া


বিধায়কের সুরেই একযোগে বেআইনি পার্কিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিত্যযাত্রীরাও। রাস্তার বেহাল দশার জন্য প্রতিদিন অফিস সহ অন্যান্য গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য কোন দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে, সেই যন্ত্রণার কথা উঠে এসেছে তাঁদের কথায়। অবিলম্বে রাস্তা মেরামতি ও বেআইনি পার্কিং রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।