এসএসকেএম-এ পড়তে এসে মারণরোগের সংক্রমণের আশঙ্কায় তরুণী
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, `ভয়ে আছি, ৬ মাস পর টেস্ট বলেছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসকেএমে পড়তে এসে হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কিত এক তরুণী। উচ্চ-মাধ্যমিকের পরই গত সেপ্টেম্বরে এসএসকেএম-এ ওটি টেকনোলজির ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন হেস্টিংসের বাসিন্দা এই তরুণী।
অভিযোগ, কোর্স ২ বছরের হলেও ২ মাসের মধ্যেই তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডাক্তার-নার্সদের সাহায্য করার জন্য। ওটিতে নার্সের নির্দেশে চ্যানেল করতে গেলে নিজের ক্ষতস্থানে রোগীর রক্ত লেগে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন ওই রোগী হেপাটাইটিস-বি-তে আক্রান্ত। আর তারপর থেকেই আশঙ্কায় ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে ওই তরুণী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "ভয়ে আছি, ৬ মাস পর টেস্ট বলেছে।" নিজের এই অবস্থার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন, রাজকোষের অপচয় রুখতে মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে বাদ ইলিশ-চিংড়ি-মাটন
সরকারি চিকিত্সক সংগঠনের একাংশও একই অভিযোগ তুলেছে। তাদের সাফ প্রশ্ন, সবকিছু ভালো করে শেখার আগেই অপারেশন থিয়েটারে ঠেলে দিয়ে পড়ুয়া ও রোগীদের কেন বিপদের মুখে ফেলা হচ্ছে? রোগী যে হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণে আক্রান্ত তা কেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অপারেশন থিয়েটারে আগাম জানানো হল না? সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে যেসব চিকিত্সাকর্মী কাজ করেন তাঁদের সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা নেই কেন? ওটি-র মতো ঝুঁকির জায়গায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুরক্ষায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে উদ্যোগী হতে হবে বলে দাবি করেছেন চিকিত্সকরা।