নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ বিধানসভায় আসছে গণপ্রহার রোখার বিল। গণপ্রহার আটকাতে রূপরেখা তৈরি নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়|


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জেলা পুলিশ সুপারের আওতায় এবং কমিশনারেটগুলিতে এমন সমস্যা মোকাবিলার জন্য পৃথক নোডাল অফিসার তৈরি করা করেছে রাজ্য|


জেলায় পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে|


কোনও অঞ্চলে গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে থাকলে অথবা আশঙ্কা থাকলে সেই অঞ্চলের নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন|


সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছে| কলকাতার কাশীপুর, কালীঘাটেও এরকম ঘটনা হয়েছে| সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই ধরনের উদ্যোগ নবান্ন নিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর|


খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ৫ বছর পর আজ সাজা শোনাবে আদালত, দোষ কবুল ১৯ জনের


উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল গণপ্রহার আটকাতে সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যগুলিকে। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।


অশোক গেয়েলট মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজস্থানে গণপ্রহার আটকাতে কড়া আইন নিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, সেই আইনের সবটাই রাজ্যের এই বিলে প্রস্তাব রয়েছে


কি থাকছে গণপিটুনি বিলে?


গণপিটুনিতে কেউ আহত হলে দোষী ব্যাক্তি ৩ বছরে জেল এবং এক লক্ষ টাকা জমিমানা বা শুধু ৩ বছরের জেল অথবা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে।


যদি কেউ গুরুতর আহত হয় তবে দোষী প্রমাণিত হলে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাবাস।


যদি কেউ নিহত হয় বা খুন করার জন্য মারা হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে জরিমানা বেড়ে হবে ৫ লক্ষ টাকা অথবা সারা জীবনের জেল।


প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই শীর্ষ আদালত একটি রায় দিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে সব রাজ্যকেই আইন তৈরি করতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাজস্থান সরকার সেই নিয়ে গণপিটুনি আইন করেছে। এবার সেই পথে হাটছে পশ্চিমবঙ্গ।