অর্ণবাংশু নিয়োগী : ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা এবার তির্যক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন একবালপুরে মাড়োয়ারি মহিলা সমিতির অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, এরাজ্যেও অনেকের গোপনীয়তা খর্ব হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যপাল বলেন, "কোন তথ্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলছেন, তা উনিই বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী তথ্য আছে, তা জানি না। তবে এরাজ্যেও গোপনীয়তা লঙ্খন নয়। অনেকেই আমাকে একথা বলেছেন।" রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জগদীপ ধনখড়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, "কারা রাজ্যপালকে একথা বলেছেন। সেই তালিকা প্রকাশ করুন।"


প্রসঙ্গত, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। সেটা জানেন তিনি। প্রমাণও আছে। তাঁর ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারকে কী বলব! সবই তো জানে। এখন তো আর হোয়াটসঅ্যাপকে ভরসা করা যাচ্ছে না। পুরো নজরদারি চলছে।" ভারতের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর উপর ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগসাসের নজরদারির খবর মিলেছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "এটা গুরুতর ব্যাপার। সরকারই এটা ইজরায়েলকে করতে দিয়েছে। যা ব্যবহার করছে এজেন্সির।"



মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই পাল্টা জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষ করেন,''ফোন ট্যাপ হয়েছে, সেটা তো আগেও বলেছেন। কোনও প্রমাণ আছে কি?'' প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রচারেও তাঁর ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরপরই দিলীপ ঘোষের তির্যক মন্তব্য, "হেরে হতাশ হয়ে গেলে এসব উল্টোপালা কথা বলে মানুষ। এসব কথা না বলে যেটুকু সময় আছে ঠিকঠাক কাজ করুন।"


পাশাপাশি, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নিয়েও মুখ খোলেন রাজ্যপাল। আদালতের নির্দেশে এবার রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেএমডিএ। তার বদলে কলকাতা শহরে অন্য ১১টি জলাশয়ে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকালে ছটপুজোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সরোবর চত্বর।


আরও পড়ুন, আইফোন 'বাঁচাতে' ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে চলন্ত ট্রেন থেকে মরণঝাঁপ, মৃত্যু যুবকের


রবীন্দ্র সরোবরের তিন নম্বর গেটের তালা ভেঙে বেশ কিছু মানুষ ভিতরে প্রবেশ করেন। কেএমডিএ-র নিষেধাজ্ঞার নোটিস ছিঁড়ে ফেলে, সরোবরের মধ্যেই তারা ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। এই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, "আদালতের নির্দেশ মানা উচিত। রাজ্যপাল হওয়ায় সংবিধান রক্ষা করা আমার কাজ। নির্দেশ অমান্য হলে সেটা খুবই দুঃখজনক।"