`কার্নিভালের দিন আমায় অপমান করেছে রাজ্য, চোখে জল এসে গিয়েছিল`, জানালেন ব্যথিত রাজ্যপাল
অনুষ্ঠানের পুরো সময়টাই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টা বসে থাকলেও, তাঁকে কোথাও দেখানো হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কার্নিভালের দিন তাঁকে ডেকে অপমান করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে অপমান করেছে রাজ্য সরকার। তাঁর উপর 'সেন্সরশিপ' করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁছাছোলা ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রলেন তিনি।
রাজ্যপাল বলেন, কার্নিভালের দিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একটু-আধটু সময় নয়। অনুষ্ঠানের পুরো সময়টাই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টা বসে থাকলেও, তাঁকে কোথাও দেখানো হয়নি। তাঁর নামোল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেছেন। শুধু এটাই নয়। রাজ্যপাল বলেছেন, কার্নিভাল অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। এই সবকিছুতেই তিনি ব্যথিত বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি এরাজ্যের সাধারণ মানুষকে জানাতে চান তাঁর সঙ্গে সেদিন ঠিক কী ব্যবহার করা হয়েছিল। তাঁর চোখে জল এসে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। সেদিন তিনি প্রায় 'কেঁদে ফেলেছিলেন' বলেও জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি রাজ্যের প্রথম নাগরিক। তা সত্ত্বেও কেন তাঁর সঙ্গে সেদিন এই ব্যবহার করা হল? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর স্পষ্ট কথা, গোটা সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সেটা কোথাও তুলে ধরা হয়নি। আর এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরোধের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সূত্রপাত। সেদিন পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের হাত থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যার তীব্র সমালোচনা করে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, 'অপ্রত্যাশিত! সবার প্রথম বাবার কথাই মনে পড়ে', জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রথম প্রতিক্রিয়া নোবেলজয়ীর
পরবর্তী মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান খুনের ঘটনায় ফের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশ্ন তোলেন তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয় রাজ্য সরকারে তরফে। এরপর ফের কার্নিভালকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের ফাটল যে আরও চওড়া হল তা বলাই বাহুল্য।