WB Governor: ভুল মাস্টারের কাছে শিখলে ভুলই শিখবেন, রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে কাকে নিশানা দিলীপের?
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, দিলীপবাবু যা বলেছেন তা ঠিকই। কারণ আমার মনে হয় না যে সরস্বতী পুজো বা শিক্ষার সঙ্গে হাতেখড়ির সম্পর্ক রয়েছে। এটা একটা লোকদেখানো বিষয়, স্টান্ট বলা যায়
মৌমিতা চক্রবর্তী ও কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: বাংলা শিখতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার তার সূচনা হচ্ছে তাঁর হাতেখড়ি-র অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা। তবে ওই হাতেখড়ি-র অনুষ্ঠান নিয়ে সবর হলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার পরামর্শ, ভুল মাস্টারের হাতে হাতেখড়ি হচ্ছে রাজ্যপালের। ভুল মাস্টারের কাছে শিখলে ভুল শিখবেন। প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তিনি থাকবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুন-গ্যালারি থেকে উঠল 'সারা ভাবি' আওয়াজ! শুভমনের অবস্থা দেখে হেসে লুটোপুটি খেলেন বিরাট
দিলীপ ঘোষ বলেন, শুনলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে। এখন ভুল মাস্টারের কাছে যদি শেখেন তাহলে ভুলই শিখবেন। উনি ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন। বাংলায় যদি উনি কথা বলেন তাহলে আমরা খুশি হব। বাংলা সাহিত্য পড়তে পারবেন। আরও ভালো লাগবে।
রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না বলে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু। যেখানে সাদা খাতা দিয়ে চাকরি হয়, চাকরি বিক্রি হয় সেখানে এই ধরনের হতেখড়ির অনুষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন না।
সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপালের পদে আসার পর থেকে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিজেপির। কিছুটা সংঘাতও বলা যায়। তবে গতকাল অবশ্য দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, রাজ্যপাল কে থাকলেন তার জন্য রাজনীতিতে কেউ যদি স্বস্তি বা অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে রাজনীতিটাই ঢিলে হয়ে যায়। লড়াইটা বিরোধীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের হওয়া উচিত। রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার বা বিরোধীদের লড়াই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, জগদীপ ধনখড়ের সময়ে বিজেপির সঙ্গে রাজ্যপালের যে সম্পর্ক ছিল তা আর নেই। আনন্দ বোস বাংলা শিখবেন এবং তার জন্য তাঁর হাতেখড়ি হবে এই কথা শোনার পর থেকেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যপালের বাংলা শেখা বা তাঁর হাতেখড়ি নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়ার এক সাক্ষাতকারে সরব হন বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত। বিজেপি নেতা বলেন, একজন বয়স্ক মানুষ বাংলা শিখছেন। খুবই ভালো কথা। কিন্তু এটার মধ্যে একটা রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। এই বার্তাটা হল, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সবই যেন ঠিক আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রটা ঠিক নেই। দুর্নীতির কথা তো বলাই হয়েছে। গোটা শিক্ষা দফতরটা এখন প্রায় জেলে। এরকম একটা সময়ে হাতেখড়ি নেওয়াটা একটা দেখনদারি বলে মনে হচ্ছে। এটা একটা স্টান্ট। এই স্টান্টের মধ্যে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়। উনি এখানে একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, দিলীপবাবু যা বলেছেন তা ঠিকই। কারণ আমার মনে হয় না যে সরস্বতী পুজো বা শিক্ষার সঙ্গে হাতেখড়ির সম্পর্ক রয়েছে। এটা একটা লোকদেখানো বিষয়, স্টান্ট বলা যায়। মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যপালের পাবলিসিটি তা বলতে পারব না। মনে হয় দুজনেরই হবে।