Governor CV Ananda Bose: রাজভবনে হাতেখড়ি; `অ-আ` লিখলেন রাজ্যপাল, `বর্ণপরিচয়` উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
পদবি `বোস` হলেও রাজ্যপাল কিন্তু বাঙালি নন। শপথগ্রহণের মাস দুয়েক পর এবার বাংলা শেখা শুরু করলেন তিনি।
মৌমিতা চক্রবর্তী: 'আমি বাংলা শিখব'। রাজভবনে হাতেখড়ি হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। লিখলেন, 'অ-আ'। রাজ্যপালের হাতে 'বর্ণপরিচয়' তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পদবি 'বোস' হলেও নতুন রাজ্যপাল কিন্তু বাঙালি নন। ১৯৫১ সালের ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্ম সিভি আনন্দ বোসের। জেলাশাসক, মুখ্যসচিব সহ-প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন ১৯৭৭ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যও হয়েছিলেন তিনি। বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার আগে মেঘালয় সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস।
জগদীপ ধনখড় ইস্তফা দেওয়ার পর, এ রাজ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। গত বছরের নভেম্বরে বাংলার রাজ্য়পাল পদে শপথ নেন সিভি আনন্দ বোস। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, 'কলকাতায় ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। শ্যামবাজার, রাসবিহারী ও চৌরঙ্গীতে কাজ করেছি'। রাজ্যপাল হওয়ার পর বাংলার শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন একাধিকবার।
এদিন রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন রাজ্যপাল। বিকেলে রীতিমাফিক রাজভবনে চা-চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মন্ত্রী, সাংসদ-সহ রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা। এরপর হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। তাঁকে 'অ-আ' লেখায় দিয়াসিনি রায় নামে এক শিশু। তাঁকে 'গুরুদক্ষিণা' দেন রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সরস্বতী পুজোর পবিত্র দিনে রাজ্যপাল বাংলা শেখা শুরু করলেন। এটা আমাদের সৌভাগ্য। রাজ্যপাল ধন্যবাদ জানাচ্ছি'। তাঁর মতে, 'যেখানেই কাজ করি না কেন, স্থানীয় ভাষা শেখা জরুরি। তাতে সাধারণ মানুষের উপকার হয়'। 'বর্ণপরিচয়' উপহার দেন রাজ্যপালকে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলায় বলেন, 'আমি বাংলা শিখব। বাংলার সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালোবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অমর রহে। জয় হিন্দ, জয় বাংলা'। এমনকী, 'জয় হিন্দ, জয় বাংলা' ধ্বনিও শোনা যায় তাঁর গলায়।
এদিকে রাজভবনে এই 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠানে অবশ্য যোগ দেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন? কেন? টুইট করেছেন,'ক্যাশ ফর জবের জন্য বাংলার শিক্ষা কলঙ্কিত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দফতরের বহু আধিকারিক জেলে। এই কলঙ্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দুর্নীতির কুইন পিন মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি'।