সঞ্জয় ভদ্র: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। রাজভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের পরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন? সূত্রের খবর, দুপুরে দিল্লি থেকে জরুরি তলব করা হয় রাজ্যপালকে।  আগামীকাল, শুক্রবার উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন সিভি আনন্দ বোস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পদবি 'বোস' হলেও তিনি বাঙালি নন। বাংলা শিখতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু রাজভবনে কেন হাতেখড়ি অনুষ্ঠান? প্রথম জোরালো প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। জি ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'একজন বয়ষ্ক মানুষ বাংলা শিখছেন, খুবই ভালো কথা। কিন্তু হাতেখড়ি অনুষ্ঠান একটি রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে'। কী বার্তা? স্বপন দাশগুপ্তের দাবি, বার্তা দেওয়া হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সবই যেন ঠিক আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রটা ঠিক নেই। গোটা শিক্ষা দফতরটা এখন প্রায় জেলে। এরকম একটা সময়ে হাতেখড়ি নেওয়াটা একটা দেখনদারি বলে মনে হচ্ছে। এটা একটা স্টান্ট। এই স্টান্টের মধ্যে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়'। 


আরও পড়ুন: Padma Vibhushan Dilip Mahalanabis: কেন মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেলেন দিলীপ মহলানবিশ? জানুন তাঁর অসাধারণ কৃতিত্ব...


রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' নিয়ে সরব হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, 'শুনলাম মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে। এখন ভুল মাস্টারের কাছে যদি শেখেন তাহলে ভুলই শিখবেন। উনি ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন। বাংলায় যদি উনি কথা বলেন তাহলে আমরা খুশি হব। বাংলা সাহিত্য পড়তে পারবেন। আরও ভালো লাগবে'।শুভেন্দু অধিকারীর টুইট, 'ক্যাশ ফর জবের জন্য বাংলার শিক্ষা কলঙ্কিত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ দফতরের বহু আধিকারিক জেলে। এই কলঙ্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা দুর্নীতির কুইন পিন মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি'। রাজভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা।



চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, 'রাজ্যপালের দিল্লি সফর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি।তা গোপন করে যারা অন্য গল্প দিচ্ছেন এবং তলবজনিত চিত্রনাট্য লিখছেন, সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজভবনের উপর চাপের অপচেষ্টা বিজেপি চালাচ্ছে সেটা ঠিক। কিন্তু রাজ্যপালকে তলবের গল্প রটিয়ে দিল্লির দাদাগিরি প্রতিষ্ঠা যেন না করা হয়'।


 



এর আগে, নভেম্বরে যেদিন শপথ নেন, তার পরেরদিনই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল নয়া  রাজ্যপালের। কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক, এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সফর বাতিল হয়ে যায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)