নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া গণপিটুনি রোধ বিল নিয়ে এখনো জারি জটিলতা। খসড়া বিল ও পাস হওয়া বিলে কেন ফারাক রয়েছে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে ফের তার জবাবদিহি তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, বিধানসভায় যে গণপিটুনি রোধ বিল পাস হয়েছিল তার খসড়ার সঙ্গে রাজ্যপালকে দিয়ে সই করানো গণপিটুনি বিলের ফারাক রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী বাম-কংগ্রেস। তারপর এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে জবাব তলব করেন রাজ্যপাল। পুজোর ছুটির আগে বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে সেই জবাবও পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রাজভবন। অভিযোগ কতটা সত্যতা রয়েছে তা ফের আইন বিভাগের কাছে বিস্তারিত জবাব তলব করে রাজ্যপাল। 


 



সূত্রের খবর, আইন বিভাগের দেওয়া জবাবের সঙ্গে বিধানসভার সচিবালয়ের দেওয়া জবাবের একাধিক ফারাক রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফের বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে গণপিটুনি সংক্রান্ত বিল নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল ফের জবাব তলব করায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসনের। 
বিধানসভা সূত্রে খবর, রাজ্যপালকে জবাব পাঠানো হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বিধানসভা সচিবালয় এর তরফে​ গণপিটুনি বিল সংক্রান্ত বিভ্রান্তির উত্তর পৌঁছে যাবে রাজভবনে।


প্রসঙ্গত কোনও বিল বিধানসভায় পেশ করতে গেলে তার খসড়া রাজ্যপালকে দিয়ে সই করাতে হয়। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে সেই বিল বিধানসভায় পেশ হয়। বিল পাস হওয়ার পর ফের তা যায় রাজভবনে। রাজ্যপাল সই করলে সেই বিল রূপান্তরিত হয় আইনে। 


রাজ্যের কোথাও যাওয়ার জন্য আমার কারও অনুমতির দরকার নেই: রাজ্যপাল


গত সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে পাস হয়েছিল গণপিটুনি রোধ বিল। অভিযোগ, পাস করার আগে বিধানসভায় যে বিল সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছিল তার সঙ্গে পাস করানো বিলের বিস্তর ফারাক। সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বাম-কংগ্রেস। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। তারপরেই বিধানসভা সচিবালয়ের কাছে গণপিটুনি বিল সংক্রান্ত এই অভিযোগের সত্যতা জানতে চেয়ে জবাব তলব করেন রাজ্যপাল।