নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশই চড়ছে রাজ্যপাল-উপাচার্যদের সংঘাতের পারদ। উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু উপাচার্যরা জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ডাকা হোক। উপাচার্য পরিষদের জবাব পছন্দ হয়নি রাজ্যপালের। শোকজ চিঠি পাঠান। উপাচার্য পরিষদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপাচার্যদের ১৫ জুলাই  বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু উপাচার্য পরিষদ জানিয়ে দেয়, রীতি অনুযায়ী সরাসরি বৈঠকে ডাকতে পারেন না উপাচার্য। বৈঠকের বিষয়ও পাঠানো হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জগদীপ ধনখড়। এরপরই কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন রাজভবন চিঠি দিয়ে জানায়,''পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে বিষয় জানানোর কথা বলা হয়েছিল উপাচার্যদের। কিন্তু একজন উপাচার্যও উত্তর দেননি। কী পরিস্থিতিতে তাঁরা উত্তর দিতে পারলেন না, তা জানাতে হবে। পড়ুয়াদের নিয়ে নিয়ে এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত গুরুতর।''



তার পাল্টা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ ও  পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ (নিয়ম ও প্রশাসন) আইন ২০১৭ স্মরণ করিয়ে দিয়েছে উপাচার্য পরিষদ। তারা জানিয়েছে, শিক্ষা দফতরের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে আচার্যকে। জাতীয় বিপর্যয়ের মাঝে আচার্যের অফিস থেকে এই ধরনের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। 



তবে চিঠি দিয়েই ক্ষান্ত হননি রাজ্যপাল। টুইটারেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জগদীপ ধনখড় টুইট করেছেন,''আচার্য তথা রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চলা উচিত উপাচার্যদের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে  ভার্চুয়াল কনফারেন্স উপস্থিত থাকুন। পড়ুয়াদের উন্নতির জন্য আগামিকালের বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি। উপাচার্যদের আচরণ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের পরিপন্থী। প্রাথমিক বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত পড়ুয়া ও তাঁদের উন্নতি, অন্য আর কিছু নয়।''         


 




উপাচার্যরা কি রাজ্যপালের ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন? জানা যাবে বুধবার। 


আরও পড়ুন- পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার অনুমতি পর্যন্ত দেয়নি বাংলার সরকার: বম্বে হাইকোর্ট