Jagdeep Dhankhar: বিএসএফ-রাজ্য পুলিস সমন্বয়, মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ রাজ্যপালের
এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাঁচটার আগেই তাঁরা চলে যান রাজভবনে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিএসএফের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আগেই রাজ্যের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। এবার মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে এনিয়ে তাঁর আপত্তি জানালেন রাজ্যপাল।
শনিবার টানা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজ্যের দুই আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যপালের। সেই বৈঠক শেষে রাজ্যপাল টুইট করেন, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিসের যাতে সমন্বয় সাধন হয় তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাঁচটার আগেই তাঁরা চলে যান রাজভবনে। টানা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের অফিস ও রাজ্য সরকারের তরফে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কয়েক দিন ধরেই সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে কলকাতা পুরভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, রাজ্য সরকার পুরভোটে নির্বিঘ্নে করাতে পারবে। তার জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা তাদের হাতে রয়েছে। এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বিএসএফের কাজের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে সীমান্তের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার অবধি করে দিয়েছে কেন্দ্র। এনিয়ে প্রতিবাদ করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাব। রাজ্যের এই বিরোধিতার প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-Burdwan: ইস্পাত কারখানায় চুল্লিতে বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন ২ শ্রমিক
এদিন বিষয়টি নিয়ে ধনকড় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বৈঠকে তাঁর আধিকারিকদের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আমি চিঠি লিখেছি। যখন আইনত বিএসএফের কাজের পরিধি ৫০ কিলোমিটার করে দেওয়া হয়েছে তার পরে কেন মুখ্যমন্ত্রী ১৫ কিলোমিটারের কথা বলছেন। ওঁকে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এখন প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন, বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করার। তার পরও মুখ্যমন্ত্রী এমন কেন করছেন বুঝতে পারছি না। আমার অনুরোধ, আইনের পরিধির মধ্যে থেকে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করুন যাতে বিএসএফ ও রাজ্য প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
রাজ্যপালে র পাল্টা সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল তাঁর লক্ষ্মণরেখা বহুবার অতিক্রম করেছেন। এনিয়ে তাঁর দৃষ্ঠ আকর্ষণ করেছি। সারকারিয়া কমিশনের সুপারিশ ছিল কোনও রাজ্যপাল যদি কেন্দ্রের বেশি অনুরক্ত হয় তাহলে তাকে রাজ্যপাল রাখা উচিত নয়।