শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: আরও একবার সংঘাতে রাজ্যভবন ও নবান্ন। ফরাক্কায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তার উত্তর আসেনি বলে দাবি রাজভবনের। সে কারণে এক দিনে ৬০০ কিলোমিটার সড়ক পথে যেতে বাধ্য হচ্ছেন জগদীপ ধনখড়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজভবনের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, আগামিকাল, শুক্রবার ফরাক্কার এসএনএইচ কলেজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন জগদীপ ধনখড়। বেলা ১২.২০মিনিটে সেখানে পৌঁছনোর কথা সস্ত্রীক রাজ্যপালের। সেখান থেকে সিউড়ি সার্কিট হাউসে পৌঁছবে বিকেলে। বর্ধমানে সার্কিট হাউসে পৌঁছবেন ৮.৪০ মিনিটে। রাজভবনে আসত আসতে বেজে যাবে রাত ১০টা। একদিনে ৬০০ কিলোমিটার যাতায়াত করবেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের কাছে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও জবাব আসেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাপারটি জানানো হলেও তা প্রতীক্ষায় রয়েছে বলে দাবি রাজভবনের বিবৃতির। 



এর আগে শান্তিপুরে রাসমেলায় অংশ নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিল নবান্ন। 



যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারের ঘটনা থেকে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের সূত্রপাত। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শাসক দলের নেতারা। এরপর মুর্শিদাবাদে খুনের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। বলেছিলেন, তাঁর বুক ফেটে যাচ্ছে। নৃশংসভাবে খুন করা হল শিক্ষক দম্পতি ও তাঁর ৬ বছরের সন্তানকে। অথচ প্রশাসন দোষীকে আড়াল করতে চাইছে। রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূল। এরপর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে শুরু বিবাদ। সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, ওই বৈঠকে গরহাজির থাকেন প্রশাসনিক কর্তারা। এরপর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কালীপুজোয় গিয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। দিন কয়েক আগে শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে সিঙ্গুরে চলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন- Exclusive: একুশে তৃণমূলের পোক্ত ডিফেন্স ভাঙতে বিজেপির ছক ৪-২-৪