`বিধানসভার অধিবেশন Prorogue`, টুইট রাজ্যপালের
এই ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রাজ্যপাল এটা নিশ্চিত করে দিয়েছেন যে আগামীদিনে অধিবেশন ডাকতে গেলে স্পিকারকে রাজ্যপালের কাছেই ফিরে যেতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভার অধিবেশন প্রোরোগ। টুইট করে জানালেন রাজ্যপাল। পরবর্তী অধিবেশন ডাকতে হবে রাজ্যপালকেই।
রাজ্যপাল জগদিপ ধনকর টুইট করে জানিয়েছেন যে সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারায় তার হাতে ন্যাস্ত ক্ষমতা অনুযায়ী বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করলেন। সাধারনভাবে বিধানসভার অধিবেশন শেষ হলে অধ্যক্ষ তাকে 'Sine Die' করে দেন যাতে পরবর্তীকালে সেখান থেকেই আবার অধিবেশন শুরু করা যায়। কিন্তু প্রোরোগ করার ফলে বিধানসভার আগামী অধিবেশন রাজ্যপালকেই ডাকতে হবে। এছাড়াও রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই সেই অধিবেশন শুরু করতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে আগামিদিনে রাজ্যপাল বিধানসভায় এলে তার কাছ থেকে কারণ জানতে চাওয়া হবে। এই ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রাজ্যপাল এটা নিশ্চিত করে দিয়েছেন যে আগামীদিনে অধিবেশন ডাকতে গেলে স্পিকারকে রাজ্যপালের কাছেই ফিরে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election 2022: বিধাননগরে 'ঢুকছে' বহিরাগতরা? শৌচাগার থেকে 'পাকড়াও' ভুয়ো ভোটার!
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, "মহামান্য রাজ্যপালের উপরে সংবিধান দ্বারা ন্যাস্ত যে অধিকার আছে তা তিনি প্রয়োগ করতে পারেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানেন যে রাজ্যপালের এই ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি তার অধিকার প্রয়োগ করেছেন।" তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে অচলবস্থা চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যে বোঝাপড়া এবং কেন্দ্রে সরকারের যে সার্বভৌমত্ব তাকে চ্যালেঞ্জ করার একটি প্রবণতা রাজ্য সরকারের রয়েছে।"
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, "রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন। উনি সংবিধানের ১৭৪(২) প্রয়োগ করে এই ক্ষমতা দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি রাজ্যপাল তার ক্ষমতা ছারিয়ে গিয়েছেন। তার কারণ বিধানসভার দুটি অধিবেশনের মধ্যে ছয়মাসের ফারাক থাকা দরকার। রাজ্যপাল যদি সময়ে সম্যে এরকম প্রোরোগ করেন তাহলে সেই সময়সীমার মধ্যে তা পরে যায়। ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যপাল এভাবে বিধানসভা স্থগিত করেননি। এর আগের উনি সই করছিলেননা। এখন আরেক ধাপ এগিয়ে বিধানসভাকেই স্থগিত করে দিলেন। এটা খুবই অন্যায়।" তিনি আরও বলেন, "রাজ্যের কী পদক্ষেপ হবে তা রাজ্য সরকার বলতে পারবেন। নিশ্চয়ই রাজ্য সরকার আদালতে যাবেন। যাওয়াই উচিত।"