নিজস্ব প্রতিবেদন: চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ধুন্ধমার পত্রযুদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রীকে এবার ১৪ পাতার পত্র-বোমা পাঠালেন রাজ্যপাল। যে চিঠির ছত্রে ছত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দোষারোপ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সাফ অভিযোগ, 'করোনা ঠেকাতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৪ পাতার চিঠি বোমাতে ৩৭ দফা অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর ৫ পাতার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে তুলে জবাব দিয়েছেন ধনখড়। চিঠিতে বলা হয়েছে,  "করোনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজ্য সরকার। দৃষ্টি ঘোরাতেই লাগাতার রাজনীতি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি চলছে। তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন। আমার ভাষা সম্পর্কে আপনার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আপনি বলছেন রাজ্যপাল মনোনীত, রাজ্যপাল মনোনীত নন, রাজ্যপাল নিযুক্ত। সংবিধান মেনেই রাজ্যকে কাজ করতে হয়। আমাকে অন্ধকারে রেখে সমস্ত কাজ চলছে।"


উল্লেখ্য, রাজ্যপালকে দেওয়া ৫ পাতার জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, 'আপনার শব্দচয়ন ও বলার ভঙ্গি অসাংবিধানিক। আপনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, আর আপনি মনোনীত রাজ্যপাল।" এদিনে রাজ্যপালের দেওয়া পাল্টা ১৪ পাতার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের সমালোচনাও করেছেন ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর মাইক নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রচার, সাফাইকর্মীদের সঙ্গে কাজের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ৫ পাতার চিঠির পর রাতেই পাল্টা ৫ পাতার চিঠি দেন রাজ্যপাল। তারপরই এদিন আবার ১৪ পাতার চিঠি দিলেন জগদীপ ধনখড়। 


এদিকে, একদিকে মানুষ যখন করোনা মহামারীর সঙ্গে যুঝতে ব্যস্ত, তখন রাজ্য-রাজ্যপাল এমন বেনজির সংঘাতের ঘটনায় তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। বর্ষীয়ান সিপিআইএম সুজন চক্রবর্তী বলেন, "২ পাতার বদলে ৫ পাতা, তার বদলে আবার ৫ পাতার চিঠি। এবার এখন ১৪ পাতার চিঠি। এটা কোনও কাজের কথা নয়। করোনা মহামারীতে মানুষ এখন অসহায়, নাজেহাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এদিকে সেগুলি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। কথা নেই।"



রাজ্যপালের ১৪ পাতার চিঠির নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। টুইট করে তিনি লেখেন, "সবাই এখন করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত। রাজভবনের অ্যাসাইমেন্ট করার জন্য এত সময় কারোও নেই। মোদী-শাহ একটা উপকার করুন। এই ভদ্রলোককে দিল্লি নিয়ে যায় ও লকডাউনে রাখুন।"


আরও পড়ুন, 'আমি নির্বাচিত, আপনি মনোনীত', রাজ্যপালকে ৫ পাতার কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর