নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলি বসানোর প্রেক্ষিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখে জবাব তলব করলেন রাজ্যপাল। ৬ মে রাজ্য সরকার কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলি বসানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ সদস্যের প্রশাসক মণ্ডলির নাম ঘোষণা করে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রশাসক মণ্ডলি বসানোয় রাজ্যপালের অনুমোদন রয়েছে, এই যুক্তি উল্লেখ করে প্রশাসক মণ্ডলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যসচিবকে পাল্টা চিঠি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিব সেই চিঠির উত্তর না দেওয়ায় ৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীকে ফের চিঠি দেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে রাজ্যপালকে তথ্য জানানো মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও সেই চিঠির উত্তর এখনও দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরই এদিন আবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল।


চিঠিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী' বলে সম্বোধন করে ধনখড় লিখেছেন, "মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দিয়ে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। উনি সেগুলি না দেওয়ায় আমি আপনার কাছেও তা জানতে চেয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত সেই তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছি।" কোন পদ্ধতিতে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলির সদস্যদের বাছা হয়েছে, চিঠিতে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এরপরই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর দায়িত্ব স্মরণ করাতে দেখা গিয়েছে চিঠিতে।


রাজ্যপাল আরও বলেছেন, "আপনি যেমন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্বপূরণের ক্ষেত্রে সংবিধানকে অনুসরণ করে চলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আমিও রাজ্যপাল হিসেবে তার রক্ষণ ও নিরাপত্তাবিধানে। KMC-র বিজ্ঞপ্তি সক্রান্ত যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে তা সঙ্গতভাবে অনুচ্ছেদ ১৬৭-র অন্তর্ভুক্ত... অনুচ্ছেদ ১৬৭ অনুযায়ী রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আপনার এই লাগাতার নীরবতা দুর্ভাগ্যজনক ও অনুচ্ছেদ ১৬৪-র শপথের পরিপন্থী এবং সংবিধানের স্বত্তা ও ভাবেরও বিরোধী।" শেষে এই চিঠি পাওয়ার পরই অবিলম্বে তাঁর উত্তর দিতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কলকাতা পুরসভার পরিচালন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে প্রশাসক বোর্ড। অন্যদিকে, একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই প্রশাসক মণ্ডলিকে 'কেয়ার টেকার বোর্ড' হিসেবে উল্লেখ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০ জুলাই পর্যন্ত এই প্রশাসক বোর্ডকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। 


আরও পড়ুন, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ১০৫টি অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর