নিজস্ব প্রতিবেদন: চিঠির পাল্টা চিঠি। রাজ্যপালের কোচবিহার সফর নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পত্র দিয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। জানিয়ে ছিলেন, একতরফা সিদ্ধান্তগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। তার জবাবি চিঠিতে জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বক্তব্য, 'মানুষের কষ্ট ভাগ করে নিতে সফর করছি। এটা নিয়ম মানার সময় নয়। আপনার দাবি মানতে পারছি না।' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


তাঁর কাছে চিঠি আসার আগেই সংবাদমাধ্যম মারফত জেনে ফেলেছেন বলে শুরুতেই উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। তিনি লিখেছেন, ''আপনার অবস্থান আমি মানতে পারছি না। তা সংবিধানের মৌলিক ভাবনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। আমরা দুজনেই সংবিধানিক পদের অধিকারী। আমার আশা আপনি অন্তত সংবিধান মেনে চলবেন।'' 


মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে রাজ্যপালের সফর নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁর কথায়,''আমি বিস্মিত, আপনার মতো নেত্রী বলছেন, রাজ্যপালের সফরের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি দরকার। মানুষের কষ্ট ভাগ করে নিতে সফর করছি। এটা নিয়ম মানার সময় নয়। আপনার অবস্থান মানতে পারছি না।''    


সংবিধানের ১৫৯ ধারার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। লিখেছেন,''রাজ্যের মানুষের সেবা করার অধিকার দিয়েছে সংবিধান। আপনাকে অনুরোধ করব, ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিন। এই ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন! মানুষের জীবনের অধিকার নেই। কারণ তাঁরা ভোট দিয়েছেন। বিরোধীদের সম্পত্তি লুঠ ও খুনের খবর আসছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। দেশ-বিদেশের প্রচুর মানুষ আমায় উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আপনার অবস্থান বদল করুন। সংবিধানের শপথের মর্যাদা রাখুন। বিপর্যয়ে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় এটা।  সংবিধানের আওতায় থেকে আপনাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিলাম।''      



তার আগে এ দিন রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ''আপনি একতরফা কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনেছি। আমার মনে হয়েছে, এতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা রীতি ভঙ্গ হয়েছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করব, উপরোক্ত রীতি মেনে চলুন। মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকুন।''


আরও পড়ুন- 'একতরফা সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকুন', রাজ্যপালের কোচবিহার সফরে আপত্তি Mamata-র