ঘেরাও সহ-উপাচার্য, যাদবপুরের পড়ুয়াদের শৃঙ্খলার বার্তা রাজ্যপালের
সেখানে যাদবপুর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, ছাত্রছাত্রীদের `শৃঙ্খলাপরায়ণ` হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত সপ্তাহ থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে অরবিন্দ ভাবনের ধর্নায় বসেছেন পড়ুয়ারা, উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর। চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক সেরে বেরনোর সময় ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পরে আহত হয়েছেন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। মঙ্গলবার সন্ধেতেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সব মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ। আর এরই তীব্র নিন্দা করলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। সম্প্রতি বারাসতে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে যাদবপুর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, ছাত্রছাত্রীদের "শৃঙ্খলাপরায়ণ" হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রয়্যাল সোসাইটির ফেলো গোবর্ধন মেহেতা, উপাচার্য বাসব চৌধুরী, রেজিস্ট্রার তপন দত্ত-সহ অন্যরা।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি এড়াতে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, তবে ছাত্রদের দাবি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে ছাত্র ইউনিয়ন ভোট করতে হবে। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়ে সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও গত তিনদিন ধরে ঘেরাও হয়ে রয়েছেন সহ-উপাচার্য। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনিও, আজ তাঁকে চিকিত্সকও দেখতে আসেন। এর আগে পরিস্থিতি নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই মতোই যাদবপুরে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে পড়ুয়ারা সাফ জানিয়েছেন তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।