`রাজ্যপালের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন`, ধনখড়ের টুইট নিয়ে সরব সৌগত-কল্যাণ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইয়াস বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের টুইট ঘিরে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইয়াস বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের টুইট ঘিরে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। জগদীপ ধনখড়ের এই কাজে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। মমতা শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, "রাজ্যপালের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বয়কট করেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে রাজ্যের দাবি তুলে দিয়ে এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি জানাতেই পারেন। শুভেন্দু অধিকারী কোন সরকারি আধিকারিক নন। কেন ওই বৈঠকে থাকবেন? ওরা এই নিয়ে রাজনীতি করতে পারেন আর সদ্য জিতে আসা মুখ্যমন্ত্রী তিনি তা কেন সহ্য করবেন? রাজ্যপালের টুইট করা নিয়ে সংবিধানে কোন জায়গা নেই। রাজ্যপাল টুইট বন্ধ করুন। এতেই মঙ্গল।"
এমনকী স্বরাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা নিয়েও সরব হয়েছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, "অবসরের পরেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণ। একজন যোগ্য ব্যক্তিকে অপমান করা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছেন। আলাপন বন্দোপাধ্যায় আর কেন্দ্রের অধীনে নেই। তিনি অবসর নিয়েছেন।"
আরও পড়ুন, মোদীর বৈঠক বয়কট করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা, 'মেসেজ ফাঁস' Dhankhar-এর
টুইট প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ''রাজ্যপাল কবে থেকে মানুষের মন পড়তে শিখলেন তো জানা নেই। উনি তো সাইকোলজিস্ট হয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন। সে কারণে ২৮ মে সবদিক থেকে 'কালো দিন'। কবে থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্য সরকারের অংশ হলেন যে প্রশাসনিক বৈঠকে আসবেন? ভারতবর্ষ এত বড় অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখেনি, তাই কালোদিন তো প্রতিদিন। জগদীপ ধনখড়ের নিজস্বতা নেই। উনি তল্পিবাহক হয়ে গিয়েছেন। জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে শিড়দাঁড়া একটু সোজা করুন।''
প্রসঙ্গত, ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক বয়কটের পরিকল্পনা নাকি আগেই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যপালকে মেসেজ করে নাকি বয়কটের ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন মমতা। মঙ্গলবার রাতে ট্যুইট করে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যপাল।