কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিক্ষকরা এবার সবাই নিজেদের জেলার স্কুলেই শিক্ষকতা করতে পারবেন। টুইট করে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে,'দিদিকে বলো'। এটা কি জানেন? 


লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রশান্ত কিশোরকে নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে নিয়োগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই পিকে-র মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসে 'দিদিকে বলো'। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভাব-অভিযোগ জানানোর সুযোগ পান রাজ্যবাসী।  প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ফোন এসেছে বলে খবর। ওই কলগুলির মধ্যে ছিল শিক্ষকদের দাবিও। নিজের জেলাতেই নিয়োগের অনুরোধ করেছিলেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। এর পাশাপাশি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্নীতির খোঁজও পায়। বদলি করিয়ে দেওয়ার নামে প্রশাসনের একাংশ ও স্থানীয় নেতৃত্বের পকেট ভরছে। 


'দিদিকে বলো' পরিসংখ্যানের পরই শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি রাস্তা, আইন শৃঙ্খলা, নিকাশি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়েও অভিযোগ এসেছে 'দিদিকে বলো'তে। এনিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বলে রাখি, প্রায় ৮ হাজার ৫০০ গ্রামে চলেছে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। কমপক্ষে ৭ হাজার গ্রামে রাত্রিবাস করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, 'দিদিকে বলো'র পর দ্বিতীয় দফার প্রচার হতে চলেছে আরও বৃহদাকারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৭৫ দিন গোটা রাজ্যে প্রতিটি ব্লকে কাজ করবেন ১ লক্ষ কর্মী। আগামী সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সূচনা হচ্ছে তৃণমূলের মেগা প্রচার অভিযান। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, এমন প্রচার ব্যবস্থাপনা এর আগে কোনও রাজনৈতিক দল করেনি। পুরভোট সামনে হলেও প্রচারের মূল লক্ষ্য, ২০২১ সালে 'দিদি'কে মসনদে ফিরিয়ে আনা।  


আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, উনি অনিষ্টমন্ত্রী, রবিবার পথে থাকবে বামেরা, হুঙ্কার সেলিমের