Naushad Siddiqui: জেল খাটিয়ে নওশাদ সিদ্দিকিকে ভয় পাইয়ে দেওয়া যাবে না, ছাড়া পেয়েই সরব আইএসএফ বিধায়ক
নওশাদ বলেন, আরাবুল শাসক দলের নেতা। তাই সে বাইরে ঘুরবে। এনিয়ে তাকেই জিজ্ঞাসা করুন। ডিসি সাউথ বলতে পারবেন তাঁর সামনে কীভাবে আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্মতলায় গোলমালের জেরে গ্রেফতার। প্রায় ৪২ দিন পর জেল থেকে জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। একই দিনে জামিন পেয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও। জেল থেকে বেরিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব আইএসএফ বিধায়ক। বললেন অনৈতিক কিছু করিনি, করবও না।
আরও পড়ুন- নওশাদের জেলমুক্তি! ৪০ দিন পর ছাড়া পেলেন ISF বিধায়ক
এদিন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আইএসএফ বিধায়ক জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, কেউ যদি মনে করে ৪১ দিন জেল খাটিয়ে নওশাদ সিদ্দিকিকে ভয় পাইয়ে দেওয়া যাবে, নওশাদ সিদ্দিকি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে চলে যাবে তাহলে তারা ভুল করছে। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে আমার কর্তব্য, সরকার যদি ভুল করে তাহলে তার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। জেলে গিয়ে অনেককিছুই জানতে পালনাম। কত মানুষ বিনা দোষে বন্দি রয়েছে, কত মানুষ বাইশ বছর জেলে থাকার পরও কেন ছাড়া পাচ্ছে না তা জানতে পারলাম।
একই গন্ডগোলের জেরে আরাবুল ইসলাম জেলের বাইরে থেকে গেলেন আর আপনি জেলে গেলেন? কী বলবেন? আরাবুল শাসক দলের নেতা। তাই সে বাইরে ঘুরবে। নওশাদ বলেন, আরাবুল শাসক দলের নেতা। তাই সে বাইরে ঘুরবে। এনিয়ে তাকেই জিজ্ঞাসা করুন। ডিসি সাউথ বলতে পারবেন তাঁর সামনে কীভাবে আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। উনি যতক্ষণ ওখানে ছিলেন ততদিন আইএসএফ কর্মীদের কী ভূমিকা ছিল তা তিনি বলতে পারবেন। আরাবুলের কথাও তিনি বলতে পারবেন। আমার রাজনৈতিক জীবন খুবই ছোট। কখনও অনৈতিক কিছু বলিনি, করিনি। কখনও অনৈতিক কিছু বলব বা করব না। রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করা। তার মানে কাউকে মারধর করতে বলা, খারাপ কথা বলা নয় বলেই আমি মনে করি।
কলকাতা পুলিস শুধু নয়, রাজ্য পুলিসও অভিযোগে এনেছিল নওশাদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, এসবের জন্য পুলিস নয় পুলিস মন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা আমি দেখব।
সাগরদিঘির পরাজয়, থেকে আনিস খানের মৃত্যু ও নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতার কি সাধারণ মানুষের উপরে প্রভাব ফেলছে? নাওশাদ সিদ্দিকি বলেন, শুধু ওইসব ইস্যু নয়, রাজ্যের ব্রমান ইস্যুগুলো দেখুন। কৃষকরা তাদের প্রাপ্য পাচ্ছে না, সরকারি কর্মীরা তাদের ডিএ পাচ্ছে না। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোটের সময় আসলে সংখ্যালঘু দরদ উথলে ওঠে। ভোটের সময়ে আসলে মতুয়া দরদ উথলে ওঠে। ভোট মিটলে আর কাউকে দেখা যায় না। আদিবাসী, সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয় তার ৩০ শতাংশ সরকার খরচ করতে চায় না।
বিরোধীদের একাংশের দাবি, তৃণমূল সম্পর্কে সংখ্যালঘুদের মোহভঙ্গ হয়েছে? এমনকি সত্যিই হয়েছে বলে আমি মনে করেন? দেখুন, ২০২১ এর আগেই সংখ্যলঘুদের মোহভঙ্গ হয়েছিল। কিন্তু কিছু বিষয়ের জন্য সংখ্যালঘুদের একাংশ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে দেয়। বলা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের জন্য ৯৯ শতাংশ কাজ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই সংখ্যাগুরুদের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের দূরত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ এই সরকারের আমলে উপকৃত হয়নি। হয়েছে শুধু তোলবাজরা। হাইকোর্ট সরকার যেসব প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে দিতে বলেছিল তা রাজ্য় সরকার তা দিতে পারেনি। ফলে জামিন পেয়েছি।