নিজস্ব প্রতিবেদন :  সাত দিনে দ্বিতীয়বার অঙ্গদানের নজির গড়ল কলকাতা। আরও একবার গ্রিন করিডর করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নজির তৈরি হল কলকাতায়। হার্ট পাওয়া গেলেও করা গেল না প্রতিস্থাপন। বুধবার অ্যাপোলো হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় খড়দার বাসিন্দা অদিতি সিনহার। তাঁর অঙ্গদানের জন্য পরিবারকে রাজি করায় কর্তৃপক্ষ। এরপর তাঁর পরিবারের লোকজন লিভার, কিডনি এবং কর্নিয়া দান করেন। তারপরেই অদিতি সিনহার কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। ভোর রাতে একটি কিডনি এবং লিভার গ্রিন করিডর করে অ্যাপোলো থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। লিভার প্রতিস্থাপন চলছে নদিয়ার বাসিন্দা বছর তিপ্পান্নর চণ্ডীচরণ ঘোষের দেহে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই লিভার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত দেড় বছর ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগতে থাকা চণ্ডীচরণ বাবুর দেহে। এসএসকেএমে ভর্তি আরও এক রোগী পাচ্ছেন আর একটি কিডনি। অদিতি দেবীর আরও একটি কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে অ্যাপোলেতে। ট্যাংরার বাসিন্দা উমা পারেখের দেহে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - গ্রিন করিডর তৈরি করে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন কলকাতায়


বুধবার অ্যাপোলোতে অদিতি সিনহার পাশাপাশি ব্রেন ডেথ হয় আরও এক রোগীর। দুই পরিবারের সম্মতি থাকা স্বত্ত্বেও হার্ট প্রতিস্থাপন সম্ভব হল না। হার্টও পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু একজনের হার্টে ব্লকেজ। অন্যজন অত্যন্ত বয়স্ক। দুই পরিবারই হার্ট দেওয়ার জন্য সম্মতি দেয়। সেইমতো শুরু হয় গ্রহিতার খোঁজ। অ্যাপোলো প্রস্তাব দেয় ফর্টিসকে। কিন্তু গ্রহিতা থাকা স্বত্ত্বেও একটি হার্টে দুটি ব্লকেজ অন্যটি প্রবীণ মানুষের হার্ট  হওয়ায় ,হার্ট প্রতিস্থাপনে রাজি হন নি ফর্টিসের চিকিত্সকরা। প্রথমবার এই রাজ্যের রোগীর হার্ট প্রতিস্থাপন হোক আপ্রাণ চেয়েছিল রাজ্য সরকার। দুই পরিবারের সম্মতি থাকা স্বত্ত্বেও সেই ইতিহাস অধরাই থেকে গেল। গত শনিবারই এসএসকেএমে ব্রেন ডেথ হওয়া কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের লিভার প্রতিস্থাপিত হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। হায়দরাবাদ থেকে অজয় রমাকান্ত নায়েকের দেহে লিভার প্রতিস্থাপিত হয়।