ওয়েব ডেস্ক : প্রেশার বাড়াচ্ছে GST। সুগার চড়ছে চড়চড়িয়ে। ওষুধ কিনতে যাবেন? সেখানেও কিন্তু দাওয়াই নয়, বরং অপেক্ষা করছে আরও বড় ধাক্কা। দাবি ওষুধ বিক্রেতাদেরই। পয়লা জুলাই থেকে রাজ্যে ওষুধ পাওয়াটাই কার্যত অনিশ্চিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজকের দিনে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফিট আর কতজন? শুধু বয়স্ক বলে নয়, ওষুধের ওপর ভরসা প্রায় সবাইকেই করতে হয়। জীবনদায়ী, সাধে বলে! কিন্তু GST গেরোয় তা এখন ঘোর সঙ্কটে।


GST চালুর পর ওষুধের বাজারের হাল কী হবে, সেটাই এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওষুধের দোকানের মালিকদের ঘুম ছুটেছে। নিয়মকানুন বোঝা, কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগ। এই চ্যালেঞ্জের সামনে, শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ার দশা। GST চালু হওয়ার আগেই প্রত্যেক ওষুধের দোকানের একটি কোড বা বিশেষ নম্বর পাওয়ার কথা। GST চালুর পর ওষুধের দোকানের একমাত্র পরিচয় হবে তার কোড নম্বর। নম্বরটি পাওয়ার পর অনলাইন GST পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে ওষুধের দোকানগুলি।


আরও পড়ুন- GST লাগুর সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ভুল, কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে মমতা


২৫ জুন GST পোর্টালটি খুললেও, বেশিরভাগ সময়ই সার্ভার ডাউন থাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রাজ্যে রেজিস্টার্ড ওষুধের দোকান প্রায় ৪০ হাজার, তার মধ্যে ৯৮% দোকান মালিকই এখনও GST রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেননি। এই অবস্থায় ১ জুলাই থেকে ওষুধ বিক্রি হবে কীভাবে, এনিয়ে  ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সমস্যা শুধু এটুকু নয়। আরও আছে।


প্রত্যেকটি ওষুধে হারমোনাইজড সিস্টেম নমেনক্লেচার বা HSN কোড লেখা থাকে। এই কোড ছাড়া ওষুধের দোকান মালিকদের পক্ষে তা বিক্রি করা অসম্ভব। প্রত্যেক ওষুধ কোম্পানিকে আলাদা HSN কোড দিতে হয়। GST চালুর আগে এই কোড এখনও দিতে পারেননি ওষুধ কোম্পানিগুলি, নতুন করে তাই ওষুধও আসেনি। ওষুধের দামের কোনও লিস্টও এখন পর্যন্ত পৌছয়নি ডিস্ট্রিবিউটরদের হাতে। ফলে, ১ জুলাই থেকে কোন ওষুধ, কত দামে বিক্রি হবে তার কোনও উত্তর নেই।


নয়া কর ব্যবস্থার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে ওষুধের দামের ওপরও। রাজ্যের ওষুধের দোকান মালিকদের সংগঠনের দাবি এমনটাই। এতদিন ওষুধের MRP অর্থাত্‍ দামের ৬৫ শতাংশের ওপর প্রায় ৪% হারে কর দিতে হত। এর সঙ্গে VAT দিতে হত প্রায় ৫%। সবমিলিয়ে ওষুধের দামের ওপর প্রায় ৯% কর গুণতে হত ওষুধের দোকানের মালিকদের। GST চালু হলে কম করে ২০% ওষুধের দাম প্রায় ২.৩% বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


তাহলে উপায়? পয়লা জুলাইয়ের পর ওষুধ মিলবে তো দোকানে? নাকি খালি হাতে ফিরতে হবে? নোট বাতিলের পর দেশজুড়ে এটিএম-ব্যাঙ্কের সামনে লাইন, হতাশ-বিরক্ত চেহারা, টানা কয়েকমাসের ভোগান্তি, তেমনই কিছু ফিরছে না তো? আতঙ্কে আম আদমি।