নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। জনজীবনও এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি-অটো সবই চলছে। পাতালপথে সচল পরিবহণ, লোকাল ট্রেনেও কোনও সমস্যা নেই। এমনকী, একশো শতাংশ দর্শক নিয়ে খুলে গিয়েছে সিনেমাহল। তবে করোনার বিপদ কিন্তু কাটেনি এখনও। ফোন করলে শোনা যাচ্ছে সতর্কবার্তা। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১২ ফ্রেরুয়ারি থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ফের পুরোদমে পঠনপাঠন শুরু হতে পারে। তবে কোভিভ প্রোটোকল মেনে এখনই ছোটদের ক্লাস নয়। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন অভিভাবকরা? চিকিৎসকরাই কী পরামর্শ দিচ্ছেন? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, অভিভাবক 


সেই মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ। প্রাইভেট টিউশনও পড়তে হচ্ছে অনলাইনে। সবই যখন চলছে, তখন স্কুলটাও খুলে গেলেই ভালো হয়। স্কুলে যে পড়াশোনাটা হয়, সেটা অনলাইনে কখনই সম্ভব নয়। আমার মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে। এবছর মাধ্যমিক দেবে ও। বাড়িতে বসে থেকে বেচারি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। ভীষণভাবে চাইছে, স্কুল খুলুক। কোভিড বিধি মেনে যদি স্কুলে পড়াশোনা হয়, তাহলে স্বাগত জানাচ্ছি।  শুধু পড়াশোনাই তো নয়, স্কুলে গেলে বন্ধুদের দেখা-সাক্ষাৎ, আড্ডাও হবে, তাহলে মনটাও ভালো থাকবে।



উমা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিভাবক


আমার মেয়ে এবার উচ্চমাধ্যমিক দেবে। প্রয়োজনে ইউনিফর্মের মতো স্কুলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হোক। শিক্ষিক-শিক্ষিকাদেরও কড়া নজর রাখতে হবে। তাহলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়। সবাই তো বাইরে বেরোচ্ছে, বাসও চলছে। তাহলে স্কুল খুলতে অসুবিধা কোথায়? 



কৌশিক চৌধুরী, চিকিৎসক


অনেক দিন ধরেই স্কুল-কলেজ বন্ধ। পড়য়াদের স্বার্থে এবার স্কুল খোলা দরকার। কিন্তু, মনে রাখতে হবে, করোনার বিপদ এখনও যায়নি। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। মাস্ক পরে স্কুলে যাওয়া, পড়ুয়াদের কমপক্ষে ৬ ফুট দূরে বসার ব্যবস্থা, শৌচাগারগুলি পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। কোভিড বিধি ঠিকমতো মনে চললে অসুবিধার কিছু নেই।


প্রসঙ্গত, আনলকে পর্বেও বেশ কয়েকবার এ রাজ্য়ে স্কুল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। এমনকী, অন্য অনেক রাজ্যে স্কুল খুলে গেলেও, পশ্চিমবঙ্গে তা হয়নি। পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সবারই মনে একটাই প্রশ্ন ছিল যে, স্কুল কবে খুলবে? শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন,  স্কুল খোলার বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সরকার। আপাতত বিষয়টি চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে।