Forward Bloc: কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাদের আমন্ত্রণ! ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়লেন হাফিজ আলম সৈরানি
`দলে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনাহীন ও দিশাহীনভাবে দল চলছে`। ফরওয়ার্ড ব্লকের সর্বভারতীয় সম্পাদককে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান এই নেতা।
মৌমিতা চক্রবর্তী: বামশিবিরের ভাঙন। ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা হাফিজ আলম সৈরানি। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস ও রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে পদত্যাগ পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কেন এমন সিদ্ধান্ত? পদত্যাগপত্রে সৈরানি লিখেছেন,'দলে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনাহীন ও দিশাহীনভাবে দল চলছে'।
বাদ কাস্তে-হাতুড়ি, থাকবে শুধুই বাঘ! দলের পতাকা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতাদের একাংশ। বিক্ষুদ্ধরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, '১৯৪৮ সাল থেকে এই পতাকা নিয়েই আমরা লড়াই করছি। তাহলে অশোক ঘোষ, চিত্ত বসুরা কি ভুল করেছিলেন'? রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দল বিক্রির মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ফব বিধায়ক আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর)। এরপর প্রয়াত অশোক ঘোষের জন্মদিনে তুঙ্গে ওঠে কাজিয়া। দলের অনুষ্ঠান নয়, সেদিন আলাদাভাবে মিছিল ডাক দেন বিদ্রোহী প্রাক্তন বিধায়ক। এই যখন পরিস্থিতি, তখন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে পদত্যাগ করলেন হাফিজ আলম সৈরানি।
ফরওয়ার্ড ব্লকের সর্বভারতীয় সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাসকে দীর্ঘ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছে সদ্য দলত্যাগী নেতা। সেই চিঠিতে হাফিজ আলম সৈরানি লিখেছেন, 'কেন্দ্রের মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও রাজ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত, অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার সুযোগ ছিল। কিন্তু কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে দিশাহীন ভূমিকা পালন করছে রাজ্য নেতৃত্ব। কর্মীদের উজ্জীবিত করার কোনও প্রয়াস লক্ষ্য করে যাচ্ছে না'। তাঁর অভিযোগ, 'নেতাজির জন্মদিন থেকে শুরু করে কমরেড অশোক ঘোষের জন্মশতবর্ষ, সব বিষয়েই তৃণমূল নেতৃত্বকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলের কর্মীরা, রাজ্যের মানুষে বিভ্রান্ত এই সিদ্ধান্তে'।
আরও পড়ুন: Gold Recovery: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উদ্ধার সাড়ে ৫ কোটির ১১ কেজি সোনা! মালিক কে?
একসময়ে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক ছিলেন উদয়ন গুহ। এখন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তিনি। কয়েক মাস আগে কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের বর্তমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় ঠাকুর অভিযোগ করেছিলেন, 'জেলা সম্পাদক থাকাকালীন ২০১৫ সালে সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত ১৫ লক্ষ টাকা দলের রাজ্য দফতরে জমা করেননি তিনি। গোটা টাকাটা আত্মসাৎ করে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু সমস্ত নথি না থাকায় তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি'।