নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এমন অভিযোগই করলেন বৈশালি ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীরতন শুক্লারও কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে দাবি তাঁর।  Zee ২৪ ঘণ্টাকে বালির তৃণমূল বিধায়ক বলেন,'লক্ষ্মীরতন শুক্লা (laxmi ratan shukla) মিটিং-মিছিল ডাকলে দলের একাংশ সাড়া দিত না। তারা আলাদা মিটিং করত।'        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে রাখঢাক রাখলেন না বৈশালি ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। তাঁর অভিযোগ,'তৃণমূলস্তরের একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। হাওড়ায় বিধায়ককে অপমান করা হয়। সাংসদকে মানে না। এই কয়েকজন মানুষ দলটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।'


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই কি ছেড়ে দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা? তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈশালি। বলেন,'লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে অনেক দিন ধরে চিনি। একই দিনে যোগ দিয়েছিলাম তৃণমূলে। আমার পাশের কেন্দ্রই লক্ষ্মীর। ওঁর সঙ্গে এনিয়ে কথা হয়নি। কেন ছাড়লেন জানি না। তবে ওঁর এলাকায় মিটিং-মিছিল ডাকলে কিছু লোক যেত না। তাঁরা আবার অন্য জায়গায় মিটিং করত।'        


শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলা নিয়েও আপত্তি রয়েছে বৈশালির। তাঁর অভিমত,'শুভেন্দু দা দলে সম্মান পেতেন। দল ছাড়তেই বেইমান, জোচ্চোর হয়ে গেল! মনোমালিন্য হতেই পারে। আসল বেইমান কিন্তু দলে থেকে উইপোকার মতো ঝাঁঝরা করে দেওয়া মানুষগুলিই।'  তবে কি দল ছাড়ার কথা ভাবছেন? বৈশালির জবাব,'আমি আমার কাজ করে চলেছি। নিষ্ক্রিয় লোকগুলির জন্য ক্ষতি হচ্ছে দলের। পদক্ষেপ করা উচিত। আর আত্মসম্মানে আঘাত লাগলে ক্ষুব্ধ তো হব। কাজ করতে না দেওয়া হলে বিরক্ত লাগবেই। তবে দল ছাড়ার কথা ভাবছি না'    
   
বৈশালির দাবি উড়িয়ে হাওড়ায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে দাবি করেছেন অরূপ রায়। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তিনি বলেন,'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপারে উনিই জানেন। হাওড়ায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। কারও মানসিকতাই হল যাব, যাব। দলের বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্যে বলা যায় না। অভিযোগ থাকলে শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান।'   


আরও পড়ুন- ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হচ্ছে করোনা টিকাকরণ