গৌরব ফিরছে কলকাতা তথা ভারতের আদি চায়না টাউনের
গৌরব ফিরছে কলকাতা তথা ভারতের আদি চায়না টাউনের। বদলাবে পথঘাট। বদলে যাবে ব্ল্যাকবার্ন লেন। ঐতিহ্যের হাত ধরে শহরে ফের জীবন্ত হয়ে উঠবে চিনা সংস্কৃতি। রাতের অন্ধকার ফুঁড়ে ঝলমল করে উঠবে কলকাতার একটুকরো চিনাসমাজ। সিঙ্গাপুরের বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগ। রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলেই শুরু হবে কাজ।
ওয়েব ডেস্ক: গৌরব ফিরছে কলকাতা তথা ভারতের আদি চায়না টাউনের। বদলাবে পথঘাট। বদলে যাবে ব্ল্যাকবার্ন লেন। ঐতিহ্যের হাত ধরে শহরে ফের জীবন্ত হয়ে উঠবে চিনা সংস্কৃতি। রাতের অন্ধকার ফুঁড়ে ঝলমল করে উঠবে কলকাতার একটুকরো চিনাসমাজ। সিঙ্গাপুরের বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগ। রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলেই শুরু হবে কাজ।
মধ্য কলকাতার টেরিটি বাজার এলাকায় ব্ল্যাকবার্ন লেন। পাশেই ছাতাওয়ালা গলি। পা দিলেই চিনা খাবারের গন্ধে ম ম করে ওঠে। পুরনো কলকাতার সেই ইতিহাসের রঙ আজ বড়ই ফিকে। গোটা চিনা পাড়াটা যেন নিঝঝুম হয়ে আছে। মনখারাপ বুকে নিয়ে বেঁচে আছে। বাষট্টির ভারত-চিন যুদ্ধের পর বিশ্বাসে চিড় ধরে।
ছবিটা কিন্তু এমন ছিল না। ওয়ারেন হেস্টিংসের সময় টং অছি কলকাতায় আসেন চিনির কল করতে। বজবজে গড়েও তোলেন এই কল। সেই শুরু। নানা ব্যবসার হাত ধরে শহরে পা রাখে চিনের হাক্কা কমিউনিটির মানুষরা।
গঙ্গা দিয়ে বয়ে যায় অনেক জল। ব্ল্যাকবার্ন লেনে এখনও আছেন চিনারা। কিন্তু হারিয়েছে ঐতিহ্য, হারিয়েছে জৌলুস। টিমটিম করছে তাঁদের ব্যবসা। ভারতের প্রথম চায়না টাউনের পুরনো গরিমা ফিরিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে সিঙ্গাপুরের সংস্থা। কথাও হয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে। তৈরি হবে ব্রেকফাস্ট মার্কেট, প্রভিশন স্টোরস, ফুড স্ট্রিট, নাইট মার্কেট, হেরিটেজ ট্রেল, হেরিটেজ সেন্টার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঠিক এভাবেই বদলে যাবে ব্ল্যাকবার্ন লেন।