‘বনগাঁর চেয়ারম্যানের ভূমিকা প্রশ্নাতীত নয়’, আজ দুপুরে রায় শোনাবেন `ক্ষুব্ধ` বিচারপতি
বনগাঁ মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বারবার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের কাজের নিন্দা করেছেন বিচারপতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ইস্যু মামলার রায় ঘোষণা। বেলা ২টোর সময় রায় ঘোষণা হবে এই মামলার। এদিনের শুনানি চলাকালীন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।তাঁর পর্যবেক্ষণ, “চেয়ারম্যানকে ফল ভুগতেই হবে।”
বনগাঁ মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বারবার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের কাজের নিন্দা করেছেন বিচারপতি। যেভাবে তাঁরা বাকি বিজেপি কাউন্সিলরদের আটকে আস্থা ভোট করান, তার নিন্দা করেছেন তিনি। এদিনের শুনানি সব পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি। সরকারি আইনজীবী হিসাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন। সেসময় বিচারপতি বনগাঁর চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিচারপতি বলেন, “চেয়ারম্যানের ভূমিকা প্রশ্নাতীত নয়।”
এদিন এই মামলার শুনানি শেষ হয়। বিজেপি কাউন্সিলরদের আশা, এই মামলার রায় তাঁদের পক্ষে যাবে।
‘দিদিকে বলো’ প্রচার, গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা
প্রসঙ্গত, সোমবারের শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। আস্থা ভোটের দিনের ঘটনাকে গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোটের দিন পুলিশ কী করছিল? কেন এক পক্ষের হয়ে তারা কাজ করল?” বিচারপতির মতে, পুলিশ নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করলে বনগাঁ পুরসভার ভোট নিয়ে সমস্যাই হত না।
সোমবারই রাজ্যের তরফে আইনজীবী, মামলার শুনানির জন্য আরও সময়ের আবেদন জানান। তখন ফের ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “বনগাঁর এই আস্থা ভোট মামলার গুরুত্ব অপরিসীম। গণতন্ত্র আজ ফুটপাথে এসে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্য সব মামলা ছেড়ে তাই এই মামলার শুনানি চালাচ্ছে আদালত।”