নিজস্ব প্রতিবেদন:  আজ দুপুরে রাজীব কুমার মামলায় রায় দিতে পারে হাইকোর্ট। বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতি মিত্রের ইঙ্গিতে তা স্পষ্ট হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



দীর্ঘদিনের সওয়াল জবাব শেষ। আজ রাজীব কুমার মামলার রায়দানের পালা। সিবিআই কি আদৌ তাঁকে সারদা মামলায় নোটিস দিয়ে সমন পাঠাতে পারে? তা জানতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব কুমার। মামলা চলে দীর্ঘদিন ধরে। মামলা চলাকালীন আদালত দফায় দফায় তাঁর আবেদন মেনে গ্রেফতারির ওপর আইনি রক্ষাকবচের সময়সীমা বাড়ায়।


সারদা মামলায় সিবিআই-এর তদন্তের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও হাইকোর্টে একাধিকবার সো্চ্চার হন রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বারবার রাজীব কুমারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এই মামলায় ক্ষমতাবলে রাজীব কুমারকেই দোষী প্রমাণ করার চেষ্টা করছে সিবিআই।”


সওয়াল জবাবের সময়ে আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে মদন মিত্রের গ্রেফতারির বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “গ্রেফতারির দিন মদন মিত্রকে সকাল সাড়ে দশটায় সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। সেদিনই বিকাল সাড়ে চারটে তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ঘটনা আবার যাতে না ঘটে, তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।”  


বিচারপতি মধুমতি মিত্র বলেন, “বহুদিন ধরে এই মামলা চলছে। এবার এই মামলার শেষ হওয়া প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর এই মামলার সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে। আজ রায় শোনাবেন বিচারপতি।


হিন্দুরা এদেশেই থাকবেন, বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হবে: দিলীপ


এক নজরে এই মামলার ইতিবৃত্ত


 


৫ ফ্রেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে দেয় রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে শিলংয়ে।


রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়ে  ৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই।


১৭ মে রাজীব কুমারের ওপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট।


৩০ মে হাইকোর্টে আবেদন করলেন রাজীব কুমার। মূল প্রশ্ন,  ইতিমধ্যেই তাকে শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ফের নোটিস দিয়েছে তারা। সেই নোটিস কি আদৌ আইনসঙ্গত? আজই তারই রায় দেবে বিচারপতি মধুমতি মিত্রের সিঙ্গল বেঞ্চ।