নিজস্ব প্রতিবেদন: “বনগাঁ পুরসভায় যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগামীরাই দায়ী। পুলিস সব দেখেই কিছু করেনি।” বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে বুধবার যে  নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এদিন আদালতে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের মামলা চলাকালীন বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



প্রসঙ্গত, বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে কারা জয়ী, সেই প্রশ্ন তুলে বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতের রায় মানা হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা। আদালতে বিজেপির আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত মামলাটি  উল্লেখ করার সময়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরগুলি দেখান। এরপরই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। 


বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট নিয়ে মঙ্গলবার সারাটাদিন ছিল চরম নাটকীয়তা। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ৯ জন ও ১ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। তিনি তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন বলে মঙ্গলবার সকালে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আস্থা ভোটের নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ৩টে। সেসময় তৃণমূলের প্রত্যেকেই ভোটকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।  তৃণমূলের দাবি, বিজেপি কাউন্সিলরদের জন্য বেলা ৩.১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন এক্সিকিউটিভ অফিসার। কিন্তু তার মধ্যে বিজেপির কেউই সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি । সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, কোরাম এক তৃতীয়াংশ সদস্য থাকলেই আস্থা ভোট হতে পারে। মঙ্গলবার এক তৃতীয়াংশ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটকক্ষে ছিলেন। সেই অনুযায়ী বৈঠক হয়েছে। তাই তাঁরা দাবি করেন, বনগাঁ পুরসভা তৃণমূলের দখলে।  বেলা সাড়ে তিনটের পর বিজেপির বিধায়করা পুরভবনে ঢোকেন বলে দাবি তৃণমূলের।


'মানুষের ভোটে জিতে তারপর দলবদল, দুর্ভাগ্যজনক', কাউন্সিলরদের দলবদলে ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির


যদিও বিজেপির অভিযোগ,তাঁদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরভবনে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি ২ জনকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এই দুই বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণের অভিযোগ ছিল। যদিও হাইকোর্ট  অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেফতারির ওপর ১ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয়। অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি দেখানো সত্ত্বেও পুলিস দুই বিজেপি কাউন্সিলরকে সময়মতো পুরভবনে ঢুকতে দেয়নি।


পরে পুরভবনে ঢুকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের সামনে বসে অনাস্থা প্রস্তাবে পক্ষে সই করেন। এরপর বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস ঘোষণা করেন পুরবোর্ড বিজেপির দখলে। তৃণমূল ও বিজেপির দাবি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পুরবোর্ড আদৌ কার দখলে, তা জানতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।