নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামের (Nandigram) রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ভোটে গরমিল হয়েছে! বুধবার নথি-সহ এই খবর প্রকাশ করেছিল Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই খবরের বিরোধিতায় সরব হলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের মহাসংগ্রামে নন্দীগ্রামে ছিল মহারণ। একদিকে ছিলেন তৃণণূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তাঁরই এক সময়ের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। লড়াইয়ের শুরুতেই মমতাকে আধ লাখ ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। গোটা দেশের নজর ছিল সেই লড়াইয়ের দিকে। ২ মে ফল ঘোষণার দিন সকাল থেকে ছিল টানটান উত্তেজনা। শুরুতে এগিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে সন্ধেয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন, মমতাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই ভোট গণনায় গরমিলের অভিযোগে সরব হন খোদ তৃণমূল নেত্রী।


আরও পড়ুন: নির্দেশিকা জারি হলেও রাস্তায় নেই সরকারি-বেসরকারি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা


বুধবার Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের হাতে এসেছে নির্বাচন কমিশনের এক্সক্লুসিভ নথি। রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের 'অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেড'। সেই নথিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ভোটার সংখ্যা ৬৭৬, ভোটদান ৭৯৯।  সংখ্যাতত্ত্বের এমন উলট-পুরাণ চোখ এড়িয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের। ফর্ম ১৭ সি-তে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: কলকাতায় আনা হল ধৃত চিনা নাগরিককে, উত্তরপ্রদেশ STF-এর হেফাজতে হান


আর এই নথিকেই ভুল বলছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ টুইটে তাঁর পাল্টা দাবি, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ বরং রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ভোটার ৭৯৯ এবং ভোট পড়েছে ৬৭৬টি৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল৷ ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের রায়ের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।