নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু ব্যবসায়ী নয়। শহরে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের পিছনে মাস্টারমাইন্ড তিন IPS। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য ED-র হাতে। মূলত দুবাই ও সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার রমরমা কারবার। কারবারের শিকড় আরও কত গভীরে খতিয়ে দেখছে ইডি। সাহায্য চাওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল আইবি-রও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিপুল পরিমান কালো টাকা। ফরেন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নিমেষে সাদা। শহরজুড়ে ছড়িয়ে জাল। বৃহস্পতিবারই নিউমার্কেট ও কিড স্ট্রিটের একাধিক দোকানে অভিযান চালায় ইডি। তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ছে কেউটে।


আরও পড়ুন- আমডাঙা নিয়ে কলকাতায় পথে নামার ডাক সিপিএমের


সেদিনই ফরেক্স-এর একাধিক দোকান থেকে ল্যাপটপ-কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, পেন ড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করে ইডি। খতিয়ে দেখে কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, এই সাতজন ছাড়াও আরও বেশকয়েকজন ব্যবসায়ী বেআইনি এই লেনদেন-এ জড়িত। যাঁরা নিয়মিত হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন।


আরও পড়ুন- গেহলতের শপথগ্রহণে রাজস্থানে রওনা মান্নানের, প্রতিনিধি পাঠিয়ে ক্ষান্ত মমতা


গত ৬ মাসে হাওয়ালার মাধ্যমে ১ হাজার কোটির লেনদেন বিপুল অঙ্কের টাকার বেশিরভাগটাই কালো। সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে। বিদেশি একাধিক ব্যাঙ্কের নথিও ইডির নজরে। দুদিনের তল্লাসিতে এখনও পর্যন্ত নগদ ৪০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 


কালো কী করে সাদা?


ফরেক্সের সাহায্যে খুব সহজেই কালো টাকা সাদা করে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সিঙ্গাপুর-দুবাইতে ভুয়ো কোম্পানির নামে আমদানির বরাত আমদানির কাগজ দেখিয়ে ওই কোম্পানিকে বড় অঙ্কের দাম মেটানো। আদতে ওই সংস্থা থেকে কোনওকিছুই আমদানি করা হত না। টাকা দুবাই বা সিঙ্গাপুরে ঢুকলে, দালাল কমিশন কেটে বাকি টাকা ফেরত পাঠাত কলকাতায়। ফেরতের পথটা আর সাধারণ নয়। এবার তা আসত হাওয়ালা রুটে। লেনদেনটা হত বৈদেশিক মুদ্রায়। আর ঠিক কোথায় টাকা যেত? কীভাবে চলত হাওয়ালা লেনদেন?তিন IPS ছাড়া আর কারা রয়েছে নেপথ্যে।