মৌমিতা চক্রবর্তী: শনিবার হাওড়া যাওয়ার পথে তাঁকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় আটকে দেয় পুলিস। রবিবার কলকাতায় আসার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে আটকে দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নাস্থল থেকে এনিয়ে সরব হলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আগামী ৭২ ঘণ্টা ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাওড়ার অশান্তি নিয়ে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?


প্রসঙ্গত, আজ কলকাতায় আসার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের রাধামণিতে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়।এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, কলকাতায় যাওয়ার আগে কোলাঘাটে এক গেস্টহাউসে যাচ্ছি। এখানে পুলিস বাধা দিচ্ছে কেন? রাধামণিতে গাড়িতে বসেই  ভিডিয়ো কলে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি গোটা ঘটনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি গাড়িতে বসে রাজ্যাপালের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন এরকম চললে আগামিকালই আমি আদালতে যাব।


এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, শুভেন্দুকে কলকাতায় আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এখানে কি ১৪৪ ধারা চলছে? রাজ্যে হত্যালীলা চলছে। আর মুখ্যমন্ত্রী তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে পরিস্থিতি, বিরোধীদের আটকানো নিয়ে আমি ও শুভেন্দু দুজনেই আদালতে যাব। রাজ্যে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই।


উল্লেখ্য, হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে গতকালই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানান সুকান্ত মজুমদার। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরিয়ে এসে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন। যারা অবরোধ করল, তাঁদের বিরুদ্ধে একটাও বাক্য বললেনি। উল্টে বিজেপি অফিসে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটানোর কথা বলেছেন। এরপর আমরা দেখলাম, বিজেপির পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী হিংসায় উস্কে দিচ্ছেন।"    


আরও পড়ুন-দণ্ড মহোৎসবে চরম বিশৃঙ্খলা, তীব্র গরমে মৃত ৪, অসুস্থ বহু পুণ্যার্থী


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)