নিজস্ব প্রতিবেদন: পরীক্ষা হয়নি। তাই মূল্যায়ণের ভিত্তিতে এবার প্রকাশ করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। কিন্তু কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগ তুমুল বিক্ষোভ হল শ্যামবাজার এভি স্কুলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, স্কুলের ১৭ জন পরীক্ষার্থী অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। সোমবার তারা ওই কম নম্বর পাওয়ার কারণ জানতে ও এনিয়ে পরবর্তীতে কী করা যায় তা জানাতে স্কুলে যান ওইসব পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের বের করে দেন। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক স্কুলেরই একটি ঘরে নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। 


আরও পড়ুন-গ্রামের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার কী অবস্থা? কেন্দ্রকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের


এনিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পরে তিনতলার একটি ঘর থেকে প্রধান শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যায়। তারপর আর ধৈর্য রাখতে পারেননি অভিভাবকরা। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকে গোটা বিষটির ব্যাখ্যা তলব করেন। তা নিয়ে প্রবল অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরে শ্যামপুকুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।


আরও পড়ুন-মোদীবিরোধী লড়াইয়ে Mamata-ই মুখ! সোশ্যালে ঝড় তুলেছে #AabKiBaarDidiSarkar


কম নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার অভিযোগ, প্রাকটিক্যালে অত্যন্ত কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এত কম নম্বর পাওয়ার কথা নয়। স্যার দরজা বন্ধ করে বসে রয়েছেন, কিছুই বলতে চাইছেন না। অন্য এক পরীক্ষার্থী বলেন, অনেক খেটে প্রাকটিক্যাল করেছিলাম, আমাকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৯। ক্লাসের অন্য দুজনকে মুখ দেখে ২৯ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মাত্র ৪৫ শতাংশ মার্কস দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা দিলে তো আরও ভালো নম্বর পেতাম!


শ্যামবাজারে বিক্ষোভের পাশাপাশি, পাস করানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করল নাকতলা আনন্দ আশ্রম বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।  স্কুলের ১১৬ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ফেল করেছেন ২৬ জন। অকৃতকার্য ওইসব পড়ুয়াদের দাবি, তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে।


বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নেতাজি নগর থানার ওসি পীযূষ কুণ্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। প্রথমে ছাত্রীদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে পুলিস স্কুলে নিয়ে যায়। স্কুলের সঙ্গে আলোচনায় সমাধানসূত্র না মেলায় ফের ছাত্রীরা রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে মানব শৃঙ্খল তৈরি করে রাস্তায় বসে পথ অবরোধ করে।


স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্রীদের পাস বা ফেল করানোর নেপথ্যে এবছর স্কুলের কোনো ভূমিকা নেই। তাদের একাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে এবছর মূল্যায়ন করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নীলাঞ্জনা দত্ত বলেন, "আমার মনে হচ্ছে এটা কোনও চক্রান্ত হচ্ছে, কারণ হল ফল বেরোনোর পরবর্তী তিন দিন কোন বিক্ষোভ হয়নি। আজ হঠাৎ করে কেন বিক্ষোভ করা হলো"? তিনি আরো বলেন, "ছাত্রীদের ফেল করানোর পেছনে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমি গতকাল রবিবার থাকা সত্ত্বেও সংসদে গিয়ে সমস্ত তথ্য জমা দিয়ে এসেছি। একাদশ শ্রেণিতে এদের বেশির বেশিরভাগ ছাত্রীই অত্যন্ত খারাপ ফল করেছিল। তার ভিত্তিতেই এই বছর মূল্যায়ন হওয়ায় এ বছর তারা ফেল করেছে। আমরা সকলকে একাদশ শ্রেণির নম্বর দেখিয়েছি। অভিভবকরা চাইলে আমরা আবার নম্বর দেখাতে রাজি আছি"।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)