ওয়েব ডেস্ক: দুটো মানুষ পাশাপাশি হাঁটতে পারেন না। এতটাই সরু গলি। এক বাড়ির গায়ে গজিয়ে উঠেছে আরেক বাড়ি। ঘুপচি ঘরের মধ্যেই কারখানা। আগুন নেভানোর ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই । উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে লুকিয়ে এমন অসংখ্য জতুগৃহ। তবু নির্বিকার প্রশাসন। এ যেন আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক। গায়ে গায়ে গা লাগিয়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক বাড়ি। তারমধ্যেই বেশকিছু কারখানা। উত্তর কলকাতার বহু এলাকার ছবিটা এরকমই। আগুন লাগলে নেভানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। বিডনস্ট্রিটের কাছে ফকির চক্রবর্তী লেনের হোসিয়ারি কাখানা। বড় রাস্তা থেকে ৬ ফুটের সরু গলি। গলি ধরে যত ভেতরে ঢুকবেন  তত সরু হবে  গলির শরীর। শেষে মাত্র তিনফুট।  আগুন লাগার পরেই ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন।সবাইকেই থামতে হল  গলির মুখে। পনেরোটি হোসপাইপ জুড়ে শুরু হল আগুন নেভানোর কাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন আজ স্যালুট যুবরাজকে নয়, তাঁর বাবা যোগরাজকে


আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কতটা ছিল কারখানায় ? থাকা উচিত রিসার্ভার। নেই। স্প্রিঙ্কলার নেই। হোসপাইপ নেই। জলের রিসার্ভার নেই। ফায়ার এক্সটিংগুইসার   ব্যবহার জানেন না কর্মী। এককথায় আগুন নেভানোর কোনও  ব্যবস্থাই নেই কারখানায়! তবু নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে, দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের। এছবি শুধু বিডন স্ট্রিটের নয়। উত্তর কলকাতার বহু অলি-গলিতেই লুকিয়ে আছে এমন অসংখ্য জতু গৃহ। বিডন স্ট্রিটের অগ্নিকাণ্ডের মতো দু একটা ঘটনায় ভয়ঙ্কর বিপদের সেই ছবিটা আবার বেরিয়ে আসে। তারপর আবার যেই কে সেই। পাল্টায় না কিছুই।


আরও পড়ুন  উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ পুরনো ও নতুন নোট