নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউটাউন খুনে ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। গতকালই Newtown-এর হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে নেমে ওই ঘর থেকেই একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিস। কার্যত নাটকীয় কায়দাতেই সেখানে লেখা "তোকে আমি মারতে চাইনি, মারতে বাধ্য় হলাম।" আর তাতেই ফের চড়ছে রহস্যের পারদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে ভাঙা মদের বোতল দিয়ে কুপিয়ে খুন, উদ্ধার মহিলার রক্তাক্ত নগ্ন দেহ


গতকাল এক যুবকের সঙ্গে নিউটাউনের এই হোটেলে এসেছিলেন মহিলা। এরপরই খুন করে ঘর থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে বিকেলেই কাজ সেরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে গিয়েছে সে। পুলিস সূত্রে খবর, পলাতক ওই যুবকের নাম অমিত ঘোষ। দু-জনেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। মনে করা হচ্ছে, খুনের উদ্দেশ্যেই সুদূর মেদিনীপুর থেকে নিউটাউনে এসে হোটেলের রুম বুক করেছিলেন যুবক। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ভাঙা মদের বোতল।


হোটেল কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী, খুনের সময় কোনও চিৎকার শোনা যায়নি। ঘরে জোরে টিভি চলছিল। তবে মৃতার সঙ্গে ওই যুবকের কী সম্পর্ক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত চুমকির স্বামী-সহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ থানায় তলব করা হয়েছে। দেহের ফরেন্সিক হবে। খুনের মোটিভ কী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক? ইতিমধ্যেই তদন্ত জোরদার করেছে টেকনোসিটি থানার পুলিস।


আরও পড়ুন:  গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় Covid-এর শিকার ৩৮, আক্রান্ত ১৬৫৩ জন


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাড়হিম করা দৃশ্যে কার্যত চোখ কপালে উঠেছিল হোটেলের কর্মীদের। নিউটাউনের ডিডি ব্লকের এই হোটেলে এক মহিলাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ এক মহিলা এক ব্যক্তির সঙ্গে হোটেলে আসে। প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিয়েই হোটেলের রুম বুক করেন তাঁরা। দুপর দুটো নাগাদ খাবারও অর্ডার করেন। সাতটায় হোটেল ছাড়ার কথা থাকলেও রাত আটটা বেজে যাওয়ায় হোটেলকর্মীরা তাগাদা দিতে এলেই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। উদ্ধার হয় মহিলার রক্তাক্ত নগ্ন দেহ।