Justice Abhijit Ganuly: যাওয়ার আগে কিছু করে যাব; বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবেই, ভরা এজলাসে বিস্ফোরক অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়
Justice Abhijit Ganuly: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি এখনও তাঁর ঘরেই চলছে। কিছু মামলা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এর আগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়
অর্নবাংশু নিয়োগী: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতিতে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জেলও হয়েছে। এবার সেই অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে পরক্ষে ওয়ার্ল্ড ট্রেস সেন্টারের সঙ্গে তুলনা করে তা ভেঙে ফেলার কথাও বললেন।
আরও পড়ুন-বারান্দা থেকে ফেলা হল পুতুল! কসবাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণে ফরেনসিক টিম
মঙ্গলবার একটি মামলায় ভরা এজলাসে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আর কটা দিন আছে, চলে যেতে হবে। কিন্তু যাওয়ার আগে কিছু করে যাব। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবেই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেও একাধিকবার বলেছেন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আইনজীবী মহলের একাংশের মতো হয়তো সেকথা মাথায় রেখেই ওই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন এজলাসে কল্লোল বসু নামে এক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। ওই কথা শুনে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, অবশ্যই বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবেই। যারা ভুলে যায় তারা অকৃতজ্ঞ। যাবার আগে কিছু করে যাব। এভাবে চলতে পারে না।
বিচারব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে আশা জাগছে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবীদের একাংশ। আইনজীবী কল্লোল বসুর কথায়, আদালতে সাধারণ মানুষ আসন। কেন তাঁরা বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে মামলার করতে চান?
সূত্রের খবর, আগামী বছর মাঝামাঝি অবসর নিতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি এখনও তাঁর ঘরেই চলছে। কিছু মামলা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এর আগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তবে এবার তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ইনি হচ্ছেন সেই মানুষ যিনি সবসময় প্রচারের আলোয় থাকতে চান। তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ ঠিক কোথায় তা বাংলার মানুষ জেনে গিয়েছেন। উনি যে বিষয়ে তদন্ত করেন সে বিষয়ে উনি টিভি চ্যানেলে মন্তব্য করেন। উনি শাসকদলকে ঢাক পিটিয়ে বিদায়ের কথা বলেন, শাসকদলের মুখপাত্রদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে, শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নামে বিষেদগার করেন। সুতারাং এটা নতুন কিছু নয়। তার কাছ থেকে মানুষ, ওই ধরনের মন্তব্যই আশা করে। তাঁর চোখে পড়ে না সিবিআই কতটা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করে, সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে এখনও ডাকছেন না। ওঁর চেখে এটাও পড়ে না সিবিআই একের পর এক কেস করছে কিন্তু কোনও কেসেরই সুরাহা হচ্ছে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উনি শুধু বক্তব্যই রাখছেন না, প্রচারেও থাকতে চাইছেন।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশ, পর্যবেক্ষণ ও রায় নিয়ে রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে ওএমআর শিট সংক্রান্ত একটি মামলায় সিবিআই আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বলেন ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের সমান দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে আমরা ১১ সেপ্টেম্বর হাজির হব। ওই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, তাহলে তো সেটা ভেঙে ফেলা দরকার।