“কেন মারামারি করল? ওরা ডাক্তার হওয়ার যোগ্য নয়, একটা ডাক্তার বানাতে ২৫লক্ষ টাকা খরচ হয় সরকারের”, SSKM-এর এমার্জেন্সিতে মমতা
“৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলাম। তার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ‘এসমা’ (Essential Service Maintenance Act) জারি করব। যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, সরকার তাঁদের দায়িত্ব নেবে না।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: “৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিলাম। তার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ‘এসমা’ (Essential Service Maintenance Act) জারি করব। যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, সরকার তাঁদের দায়িত্ব নেবে না।” হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “দুতরফেই তদন্ত হবে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, দুপক্ষই মারামারি করেছে। ওদের অভিযোগটাও তো দেখতে হবে, কেন একটা ই়ঞ্জেকশন দিল, আর মারা গেল! আমি খতিয়ে দেখব।”
সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিত্সকদের কাজ সেবা করার। স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেউ ইচ্ছে না এসব করে না। ওদের সঙ্গে সিপি বসল। চন্দ্রিমা গিয়ে হাসপাতালে ওই ছেলেটাকে দেখে আসল। চিকিত্সার সব খরচ সরকার নিল। এরপরও... এত বড় ঔদ্ধত্য ওদের। ৪ দিন ধরে আবেদন করছি। কানই দিচ্ছে না। একটা ডাক্তার তৈরি করতে ২৫ লক্ষ টাকা লাগে। এখানে ইন্টার্ন করে তারপর বাইরে চলে যায়। আমি যদি ডোনেশন চালু করি, আরও ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ে সুবিধা পাবে। ওদের মায়া নেই? কিছুলোক উস্কানি দিচ্ছে ওদের। আজ ২টোর মধ্যে কাজে যোগ দিলে ভালো, আমরা এসমা জারি করব। ”
খ্যমন্ত্রীর দাবি, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।" হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।