অর্নবাংশু নিয়োগী: আত্মঘাতী হয়নি ছেলে। বরং তাঁকে খুনেই করা হয়েছে। ফলে তার মৃ্ত্যুতে তদন্ত করুক সিআইডি বা বিশেষ তদন্তকারী দল। এমনই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন খড়গপুর আইআইটির মৃত ছাত্র ফাইজান আহমেদের বাবা-মা। তাঁদের দাবি ছিল,পুলিসের দাবিতে বেশকিছু অসংগতি রয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিস সুপারের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঘোষণা হল গুজরাট নির্বাচনের দিন, ডিসেম্বরে মুখোমুখি আপ-কংগ্রেস-বিজেপি


উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় মেকালিক্যাল ইঞ্জিনায়রিংয়ের তৃতীয়বর্ষের পড়ুয়া ফাইজান আহমেদের পচগলা দেহ। একটি হোস্টেলে একজন মৃত পড়ুয়া পড়ে রইল, এমনকি তাঁর দেহে পচনও ধরে গেল আর তা কেউ টেরই পেল না? ওই ঘটনার তদন্তে এখনওপর্যন্ত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। এদের অধিকাংশই পড়ুয়া। এছাড়াও রয়েছে নিরাপত্তাকর্মী ও হোস্টেল কর্মী। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফাইজানের বাবা-মা ছেলের দেহ নিতে এসেই অভিযোগ করেন তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।


গত ৩১ অক্টোবর ছেলের মৃত্যু তদন্ত সিআইডিকে দেওয়ার দাবিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ ও মা রেহানা আহমেদ। হাইকোর্টে করা আবেদন তাঁরা বলেন, ফাইজান তাদের একমাত্র সন্তান ছিল। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানতে অন্তত সিআইডি, সিবিআই কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দল করুক। কারণ তাদের ছেলের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উত্তর মেলেনি। সম্ভবত তাকে খুনই করা হয়েছে। আদালতে করা তাদের আবেদনে সেলিম ও রেহানা আরও দাবি করেন, পুলিস তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল ফাইজান মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তার আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে রয়েছে তার মানসিক অসুস্থতা। কারণ ফাইজান অ্যাসিমিলেশন প্রোগ্রামে যেতে চায়নি। প্রসঙ্গত, এটাই হল খড়গপুর আইআইটির র্যাগিংয়ের পোশাকি নাম। 


এদিকে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের তরফে খড়গপুর টাউন থানার কাছ থেকে কেস ডাইরিও তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, তদন্ত ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখার জন্য একজন উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিককে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিস সুপারকে। আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তকারী অফিসার ও পুলিস সুপার নিযুক্ত উচ্চপদস্থ অফিসারকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। অবিলম্বে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। মৃত ছাত্রের সঙ্গে ফোনে যে ব্যক্তির শেষবার কথা হয় তাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে সবার সাক্ষ্য ও গোপন জবানবন্দি নিতে হবে। হোস্টেলে সিসিটিভি রয়েছে কিনা তা দেখবে পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)