Primary Teachers Recruitment: প্রাথমিকে শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি বন্ধ করে দিল পর্ষদ
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে `দুর্নীতি`। আপাতত বন্ধ শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে এই সিদ্ধান্ত।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: পুজো মিটলেই ফের শূন্যপদে নিয়োগ। প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। কতদিন? পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই শূন্য়পদের তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যদি শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়, তাহলে কোন স্কুলে কতগুলি পদ শূন্য, তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাবে না। ফলে নিয়োগে সমস্যা হবে।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। হাইকোর্টে নির্দেশে যখন দুর্নীতি মামলায় একযোগে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি, তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য। মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর, পর্ষদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। পর্ষদের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পোশাকি নাম, অ্য়াডহক কমিটি।সপ্তাহ খানেক প্রথম বৈঠকে বসে পর্ষদের নবগঠিত অ্য়াডহক কমিটির সদস্যরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুজোর পর ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। শূন্য়পদের সংখ্যা কয়েক হাজার। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যারা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে। সেকারণেই বন্ধ করে দেওয়া হল প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি।
আরও পড়ুন: Dengue: পুজোতেও দাপট থাকবে ডেঙ্গির, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা রাজ্যের
এদিকে হাইকোর্টে নির্দেশে মেনে ১৮৭ কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্ত জারি করা হয়েছে, ১৯ সে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে ইন্টারভিউতে হাজির থাকতে হবে তাঁদের। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, ১৯ সে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে ইন্টারভিউতে হাজির থাকতে হবে তাঁদের। যাঁরা ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদের বিরুদ্ধে ভুল প্রশ্নের অভিযোগ মামলা করেছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন 'অ্যাটেন্ড' করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হত, তাহলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা।
কেন নিয়ম মানা হল না? হাইকোর্টে সশরীরের হাজিরা দিতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। স্রেফ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল। বস্তুত, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষক নিয়োগ করা হবে নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণিতেও। শূন্যপদ? ১৯ হাজার। বিদ্যালয় পিছু কোন ক্যাটেগরিতে শূন্যপদ কত? পুজোর আগে তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরকে।