Dengue: পুজোতেও দাপট থাকবে ডেঙ্গির, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা রাজ্যের
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ডেঙ্গি তার চরিত্র বদল করে কোভিডের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। তা না হলে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে কেন?
সুতপা সেন ও মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। পুজো পর্যন্ত ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত থাকবে। এমনটাই মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। উপসর্গ থাকলে অ্যালাইজা বা এনএসওয়ান টেস্ট করাতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে আজ স্বাস্থ্যভবনে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ডেঙ্গির চিকিত্সার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি ল্যাবগুলিকে। এছাড়া ডেঙ্গি চিকিত্সায় সরকারি প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন-ভয়ংকর! ঋণের ১০ হাজার টাকা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বার মাথা ট্রাক্টরে পিষে দিলেন রিকভারি এজেন্ট
শনিবার শহরের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যবরেটরিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নিজে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে যখন কোনও ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হবেন তার তথ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে। সেই তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে আপলোড করতে হবে। চিকিত্সা ক্ষেত্রে কোনও Rapid টেস্ট করা যাবে না। একেবারে অ্যালাইজা মেথডে এনএসওয়ান টেস্ট করতে হবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি ল্যাবগুলিকে বলা হয়েছে ডেঙ্গি পরীক্ষা রেট সাধারণের আয়ত্বের মধ্যে রাখতে হবে। কোনও ল্যাব ওই নির্দেশিকা না মানলে ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিসমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডেঙ্গি চিকিত্সার জন্য সরকারি প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ডেঙ্গি তার চরিত্র বদল করে কোভিডের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। তা না হলে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে কেন? ভয় হচ্ছে ডেন থ্রি-র জন্য। নতুন একটি স্ট্রেন দেখা যাচ্ছে। সাধারণভাবে ডেঙ্গির যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার বাইরেও কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গির মোট ৪টি সাব ভ্যারিয়্য়ান্ট রয়েছে। ডেঙ্গির মিউটেশনের খবর এখনও পর্যন্ত নেই। এনিয়ে নাইসেড-এর অধিকর্তা শান্ত দত্ত বলেন, প্রতি বছর ওই ৪টি সাব ভ্যারিয়্যান্ট্রের প্রকোপ দেখা যায়। তাই এখন জ্বর হলেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার টেস্ট করাতে হবে। পাশাপাশি ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট করা। এরপর নিয়ম অনুযায়ী চিকিত্সা করা। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া। এভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী বৃহস্পতিবার রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৫৬৬ জন। হাসপাতালে রেয়েছেন ৫৪৮ জন। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের ৭ জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।