নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে তাঁর প্রতিক্রিয়াটাও চলে এল। সম্ভবত প্রথমবার একসঙ্গে সারদাকাণ্ড ও নারদ ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়। ঘটনাচক্রে এই দুই ইস্যুতেই অভিযুক্ত প্রাক্তন সর্বভারতীয় তৃণমূল সম্পাদক। অতীতে সারদাকাণ্ডে তাঁকে মাস্টারমাইন্ড বলে দাগিয়েছেন বিরোধীরা। নারদ স্টিংয়ের ভিডিয়ো ফুটেজে নিজে হাতে টাকা না নিলেও পুলিস অফিসারের হাত দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে। এবার সেই নারদ ও সারদাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এখনই রাষ্ট্রপতি শাসন নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা রাজ্য বিজেপির


সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়ে একাধিকবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, টাকা নিলেও তা নিজের জন্য নেননি তিনি। দলের জন্যই নিয়েছেন এবং সেই টাকা খরচ করা হয়েছে দলের কাজেই। মুকুলের রায়ের এই বক্তব্য নিয়ে অনেকের দ্বিমত থাকলেও তাঁর দাবি  একেবারে অস্বীকারও করতে পারেননি কোনও নেতা। বরং তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন। নিন্দুকরা বলেন, সে সময় দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে নিয়ে মুখ খুলতে হয়ত অনেকেরই সাহস হয়নি। তবে দলবদলের পরও এই ইস্যুতে স্পিকটি নট থেকেছে অভিযুক্ত নেতারা। বিচারাধীন বিষয় বলেই কাজ সেরেছেন তাঁরা। মুকুল রায়ও একাধিকবার এমনই মন্তব্য করেছেন।


আরও পড়ুন- “রাজীবের জন্য আমি জীবন দিতেও রাজি”, ধরনা মঞ্চ থেকে হুঙ্কার ‘অপমানিত’ মমতার


তবে রবিবার সিবিআই অফিসারদের হেনস্থার পর তদন্তের বিষয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর অভিযোগ, তদন্তে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস সাংবিধানিক সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত আসছে বলে দাবি তাঁর। এখানেই শেষ নয়। রাজীব কুমারকে সিবিআই জেরার মুখে পড়া থেকে বাঁচাতে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী-সহ গোটা সরকার রাস্তায় নেমে পড়েছে তারও নিন্দা করেন তিনি। এনডিটিভি-কে মুকুল রায় জানিয়েছেন, “আমি অপরাধী নই। আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম, আমিও জেরার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তদন্ত চলা উচিত এবং দোষীদের শাস্তি হওয়াও প্রয়োজনীয়।”


আরও পড়ুন- ‘পাশে আছি’ মমতাকে রাহুল! ‘হিন্দি সিনেমা চলছে’ বললেন সৌমেন 


প্রসঙ্গত, শুধু মুকুল রায়ই নয় সিবিআই হেনস্থার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্মৃতি ইরানি থেকে রবি শঙ্কর প্রসাদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এমনও অভিযোগ করেন, সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের সবকিছু রাজীব কুমার জানেন বলেই তাঁকে বাঁচাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই সিবিআইকে ব্যবহার করে তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে মোদী সরকার।