এখনই রাষ্ট্রপতি শাসন নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা রাজ্য বিজেপির
২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এবার নিজেদের অবস্থান বদল...
অঞ্জন রায়
তাড়াহুড়ো নয়। সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিস সংঘাতের ঘটনায় আরও একটু অপেক্ষা করেই পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল রাজ্য বিজেপি। রবিবার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক আধিকারিক। ধস্তাধস্তি থেকে আটক, গোয়েন্দা হেনস্থায় কলকাতা পুলিসের আচরণে বিস্মিত কেন্দ্রও। যেখানে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের আদেশে তদন্ত চলছে, সেখানে কীভাবে বাধার সৃষ্টি করছে কলকাতা পুলিস? যা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়েও তোপ দাগেন তারা। সুযোগ বুঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। দিলীপ ঘোষ তো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এবার নিজেদের অবস্থান বদল করে নিল তাঁরা। এখনই ৩৫৬ ধারা নয়, দিল্লিকে জানাল রাজ্য বিজেপি।
আরও পড়ুন- “রাজীবের জন্য আমি জীবন দিতেও রাজি”, ধরনা মঞ্চ থেকে হুঙ্কার ‘অপমানিত’ মমতার
এদিন সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিসের সংঘাতের ঘটনায় রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। এই ইস্যুতে রাজ্যনেতাদের অভিমত কী, সেটা জানতেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানেই রাজ্য নেতারা জানান, রাজ্যে এখনই ৩৫৬ ধারা লাগু করার প্রয়োজন নেই। আরও একটু অপেক্ষা করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতারা।
আরও পড়ুন- জল্পনা অবসান, বিজেপিতে যোগ দিলেন ভারতী ঘোষ
তাঁরা প্রকাশ জাভেড়করকে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচিত সরকারকে এভাবে ফেলে দিলে আদতে হাত শক্ত হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। গোটা ইস্যুটাকে নিজের অভিমুখে ব্যবহার করতে পারবেন তৃণমূল সু্প্রিমো। এতে বিজেপির লক্ষ্য বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে প্রবল। তাই এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়ার বিপক্ষেই দাঁড়িয়েছেন সিংহভাগ রাজ্য নেতারা। উল্টে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে হাঁটছেন সেই পথেই তাঁকে ফাঁদে ফেলার পক্ষপাতী তাঁরা।
আরও পড়ুন- ‘পাশে আছি’ মমতাকে রাহুল! ‘হিন্দি সিনেমা চলছে’ বললেন সৌমেন
প্রসঙ্গত, সিবিআই হেনস্থায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় ভর্ত্সনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে এই ইস্যুতে আবারও বিরোধীদের একাট্টা করতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। ফোনেও কথা হয়েছে তাঁদের। অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতির মহল।