নিজস্ব প্রতিবেদন: জিডি বিড়লা কলেজে ছাত্রীমৃত্যুতে গাঢ় হচ্ছে আত্মহত্যার তত্বই। ব্লেডে হাতের শিরা কাটলে যে ধরনের শারীরিক দাগ থাকতে পারে, তা রয়েছে ওই ছাত্রীর হাতে। উদ্ধার হয়েছে ওই ছাত্রীর সুইসাইড নোটও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস ও ফরেন্সিক বিভাগ মনে করছে, আত্মহত্যা করেছেন দশম শ্রেণির ছাত্রী। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউড indian institute of statistics-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়েও চাপে ছিল সে। পারিবারিক অশান্তির কথাও তাঁর সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জিডি বিড়লায় ক্লাসে প্রথম হতো আত্মঘাতী ছাত্রী। অথচ সেই ছাত্রীরই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল শৌচালয়ে। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ব্লেড। ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস। শৌচালয় থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক বিভাগ। সেখান থেকে মিলেছে প্লাস্টিকের কৌটো, রক্তমাখা পেন, ও ব্লেড। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট।



পুলিস সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর বাঁ হাতের শিরা কাটা ছিল। আর বাঁ হাতে শিরা কাটলে ডান হাতের আঙুলে ব্লেডের চাপে যে ধরনের দাগ থাকে, সেরকমই তার আঙুলেও রয়েছে। এতে আত্মহত্যার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হচ্ছে। আর তাঁর সুইসাইড নোট থেকেও বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে অনেকটা।                                     


ডিসি ট্রাফিক মুরলীধর শর্মা বলেন,''অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে বুঝতে পেরেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া নিয়ে চিন্তিত ছিল ওই ছাত্রী। সুইসাইড নোটে লেখা, ৩ মাস ঘুম ঠিকমতো হয়নি। হাতের শিরায় আত্মঘাতী দাগ রয়েছে। ছোট ছোট ব্লেড উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে পলিথিনও''। 


বছর দুয়েক পরে প্রবেশিকা পরীক্ষা। ক্লাসে প্রথম হওয়া ছাত্রীও চাপে? ইঁদুর দৌড়ে কি আরও একটা ভবিষ্যতের অপমৃত্যু ঘটল? উঠছে প্রশ্ন। মনোবিদরা বলছেন, ক্লাসে কৃতী হওয়াটাই একটা চাপ। প্রতিটি পরীক্ষাতেই কৃতীরা সেরাটি দিতে চায়। ওই ছাত্রীও সম্ভবত সেই চাপেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল। এক্ষেত্রে পরিবারকেই নজর দিতে হয়।


আরও পড়ুন- এ কেমন মা! প্রেমে বাধা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে প্রেমিককে দিয়ে খুন করালেন মহিলা