নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ কি আদৌ এমপি এমএলএ আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত? এই প্রশ্নেই এদিন ঝুলে রইল সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন সিবিআইয়ের তরফে রাজীবের গ্রেফতারির পক্ষে জোর সওয়াল করা হয়। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, হাইকোর্টও রাজীব কুমারের ওপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে। রাজীব কুমার একেবারেই তদন্তে সহযোগিতা করেননি। আর সেক্ষেত্রেই তাঁকে গ্রেফতারির প্রয়োজন রয়েছে।


তবে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি  এমপি এমএলএ- আদালত আদৌ  এক্তিয়ার রয়েছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়।


কোথায় সমস্যা তৈরি হল?


হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তৈরি হয় এমপি এমএলএ ট্রায়াল বিশেষ আদালত। তবে এই আদালত শুরু হওয়ার পর কোনও এমপি কিংবা এমএলএ গ্রেফতার হননি। আজ রাজীব কুমারের জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে সিবিআই-এর আর্জির শুনানি ছিল এই আদালতে। বিচারক বলেছেন, যেহেতু এটি ট্রায়াল কোর্ট, তাই ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কিংবা কোনও অভিযুক্তকে জেল হেফাজত বা পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই।


রাজীব কুমারের ভরসা এবার জেলা জজ কোর্ট, ২টোর পর আগাম জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি


তাহলে উঠে আসছে আরও একটি প্রশ্ন! সারদা সংক্রান্ত কোনও মামলায় এখানেই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে সিবিআই কোন আদালতে তাঁকে পেশ করবে?


বিচারক বলেছেন, আলিপুর এসিজেএম আদালতে। কিন্তু সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়, আলিপুর এসিজেএম আদালতে তো এই মামলার কেস রেকর্ডই নেই। আইন অনুযায়ী যে আদালতে কেস রেকর্ড রয়েছে, সেখানেই অভিযুক্তকে পেশ করতে হবে। গোলমালের সূত্রপাত ঠিক এখানেই। তবে এসবের মাঝে ঝুলে থাকে রাজীবের গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত মামলা।


অন্যদিকে, দুপুর ২টোয় জেলা জজ আদালতে শুরু হবে রাজীবের আগাম জামিনের আবেদনের মামলা। এক্তিয়ারভুক্ত না হওয়ায় এদিনই এই মামলা ফিরিয়ে দেয় বারাসত বিশেষ আদালত। জেলা দায়রা বিচারক মহম্মদ সব্বর রশিদির এজলাসে আজই এই মামলার শুনানি।