ওয়েব ডেস্ক : স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র নেই। নেই দমকলের ছাড়পত্র কিংবা পরিকাঠামো। শুধু পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স সম্বল করেই রমরমিয়ে চলত বেহালার সাউথ ভিউ ও কলেজ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোম। দুই নার্সিংহোমেই অবাধে চলত শিশুপাচার। এমনকি ধরা পড়ার পরেও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেহালার ব্যস্ত সত্যেন রায় রোডের ওপর সাউথ ভিউ নার্সিংহোম। না , সাইন বোর্ড না ছাড়া আপনি বুঝতেই পারবেন না এটা আদতে নার্সিংহোম। ঢোকার আগে আপনাকে পেরোতে হবে শরিকি কলতলা।  দোতলায় ওঠার সিঁড়ি এতই সরু যে দুজন পাশাপাশি ওঠাও অসম্ভব। তিনকামরার ফ্লোরে কাঠের পার্টিশন দিয়ে বানানো কেবিন ওয়ার্ড। শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমেরও একই হাল। মহাত্মা গান্ধীর রোডের ওপর জরাজীর্ণ এ বাড়িতে চলে রোগীর চিকিত্সা। দু-একটি বেড ছাড়া চোখে পড়ল না চিকিত্সার আর কোনও সরঞ্জাম। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিকাঠামোহীন বাড়িতে কীভাবে চলত নার্সিংহোম? দুই নার্সিংহোমের আদৌ কোনও ছাড়পত্র ছিল কি?


নার্সিংহোমের জন্য জরুরি-১)ক্লিনিকাল এসট্যাবলিশমেন্ট  অ্যাক্ট অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র, ২) দমকলের ছাড়পত্র, ৩) পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স। ২৫ বছর ধরে বেহালায় ব্যবসা চালাচ্ছেন বড়দি। স্বাস্থ্য দফতরে বড়দির নার্সিংহোমের কোনও ছাড়পত্রের হদিশ মেলেনি। দমকলের ছাড়পত্রের প্রশ্নই উঠছে না। নার্সিংহোম চালানোর ছাড়পত্রের কথা বলতে পারলেন না জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও। কলেজ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমেরও স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র নেই। শুধু পুরসভার ট্রেড লাইসেন্সে ভর করেই দিব্যি ব্যবসা চালাচ্ছিল দুই নার্সিংহোমই।


নিয়ম বলে, স্বাস্থ্য দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া নার্সিংহোম চালালে তার বিরুদ্ধে FIR করতে হবে। ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কোথায় কী? কীভাবে এখনও চলছে নার্সিংহোম? সিআইডি নজরে আসার পরও কেন হাসপাতালে তালা ঝোলালো হল না? তবে কি আড়ালে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রভাবশালী হাত? জোরালো হচ্ছে সন্দেহ।


আরও পড়ুন, শিশু পাচার চক্রের পাণ্ডা 'বড়দির' নেপথ্য উত্থান গল্প