মৌমিতা চক্রবর্তী ও দেবব্রত ঘোষ: ধর্মতলায় সরকারী কর্মচারীদের ধরনা মঞ্চে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গায়ে হাত তুলে দিলেন হাওড়ার এক যুবক। ওই যুবকের বাড়ি হাওড়ার বাঁকড়ায়। কেন ওই হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নওশাদ যখন বক্তব্য রাখছিলেন সেইসম সোজা নওশাদের সামনে হাজির হয়ে যান ওই যুবক। তারপর দুএকটা কথার পরই তিনি নওশাদকে ধাক্কা দেন। ওই যুবককে আটক করেছে ময়দান থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দল সম্পর্কে ইডিকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে দিলেন অনুব্রত, ঘুরতে পারে তদন্তের মোড়! 


বাঁকড়ার ওই যুবক মঞ্চের সামনে গিয়ে নওশাদকে প্রশ্ন করেন, আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করতে চাইছেন? ওই কথা শুনে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা করে কিছু করতে চাইছি না। ওইসব কথাবার্তার মধ্যেই ওই যুবক নিজের জামা তুলে পেটের ব্যান্ডেজ দেখান। তারপরই নওশাদ সিদ্দিকিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এরপরই মঞ্চে থেকে লোকজন ওই যুবককে ধরে বাইরে নিয়ে যান। ওই সময় নওশাদকে বলতে শোনা যায়, ওকে কিছু করো না। এটা একটা নাটক।


জানা যাচ্ছে যে যুবক নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কা দিয়েছেন তার নাম সেখ আবদুল সালাম। বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। এলাকায় তোতা নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন তৃণমূল কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপিতে যোগ দেন তখন সালামও বিজেপি যোগ দেন।  তবে বর্তমানে বাঁকড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মেহের আলি জানান, এখনও সালাম পঞ্চায়েতের সদস্য রয়েছেন। যে ঘটনা ঘটছে তা আবাঞ্ছিত ঘটনা। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।


নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগ, এরকম ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। বিধানসভার স্পিকারকে বিষয়টা জানাব। আইনি বিষয়টা নিয়েও কথা বলছিল। কেন ওই যুবক এসেছিল, কী তার উদ্দেশ্য ছিল তা জানা প্রয়োজন। আমার উপরে কীভাবে হামলার চেষ্টা হচ্ছে তা মানুষ বুঝতে পারছে। কেউ যদি এভাবে হামলা করে, ভয় দেখিয়ে মনে করে আমাকে থামিয়ে দেবে তাহলে তারা ভুল করবে। আমি মানুষের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমি থাকব।


ওই ঘটনা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ধরনা মঞ্চের মধ্যেও কোনওভাবে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? পুলিস কী করছিল? পরিকল্পনা করেই কি ওই কাজ করা হচ্ছে? নওশাদ সিদ্দিকি একজন বিধায়ক। তৃণমূল তাকে ভয় পায়। মিথ্যে মামলায় জেলে ভরে রাখার চেষ্টা হয়েছিল।


এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যদি আন্দোলন করে তাহলে তাকে যে কোনও উপায়ে থামানো হবে। নওশাদ সিদ্দিকি একটি দলের বিধায়ক। তাকে মানুষ জিতিয়েছে। তাকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু সরকার কোর্টে গিয়ে কোনও কথা বলতে পারেনি। তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাই এবার তার গলা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)