ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন নিয়েই রাজনীতির আকাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের উত্থান। আজ দশ বছর পর সেই বৃত্তটা সম্পূর্ণ হলই।
 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিঙ্গুর....
জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে পথে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়....
দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই...
সঙ্গে ছিল ২৬ দিনের অনশন...
লড়াই-ধর্না....
এই আন্দোলনের হাত ধরেই গোটা দেশের নজর কাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের....বাকিটা ইতিহাস....


২০১১সালে রাজ্যে নতুন সরকার গড়ে মহাকরণে ঢোকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...জমি তিনি ফেরাবেনই...ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মানুষের কাছে এটাই ছিল তাঁর প্রথম প্রতিশ্রুতি।


সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরাতে আইন আনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার...তবে আইনের ফাঁসে কখনও হাইকার্ট, কখনও সুপ্রিম কোর্ট- জমি ফেরানো যায়নি। অপেক্ষাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছিল...কোথাও যেন তৈরি হচ্ছিল হতাশা... তৈরি হচ্ছিল সংশয়...আইনের গোলক ধাঁধাঁয় আটকে পরা মমতাও হয়েত ধৈর্য হারাচ্ছিলেন... গত ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেই ফেলেন...ওটা আদালতের বিষয়। পাঁচ বছর কেন পঞ্চাশ বছর লাগলেও কিছু করার নেই....


শেষ পর্যন্ত সব অপেক্ষার অবসান হল...শীর্ষ আদালতের রায়ে সম্পূর্ণ হল মমতার আন্দোলনের বৃত্ত...।


মমতা ম্যাজিক
আক্ষরিক অর্থে এই লড়াইটা ছিলে বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনীও না ছাড়ার লড়াই। এক দিকে দুশো পয়ত্রিশ আসন নিয়ে জিতে আসা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য... অন্যদিকে কার্যত একা মমতা...যুযুধান দুপক্ষ... তবে দাবি থেকে সরেননি মমতা.... এখান থেকেই তোলেন মা-মাটি-মানুষ স্লোগান....তাঁর জমি আন্দোলনের গোটা দেশে পরিচিতি পায় সিঙ্গুর...অবশেষে আদালত রায় দিল... কার্যত মমতার আন্দোলনের জয় হল।


'ঐতিহাসিক আত্মহত্যা'


২০০৬-এর ডিসেম্বর। শীতের কলকাতায় অনশনে বসেন মমতা.... কেটে গিয়েছে দশটা বছর... পূর্ণ হল বৃত্তটা। নিজের কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।