নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মীয় রং না দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ৫০ জন বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিক। নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়কে নিয়ে চিঠি দেওয়াটা কাজের কাজ হয়নি বলে মনে করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর যুক্তি, অসুবিধা থাকলে নেতাদের আলাদা করে বলা যেতে পারতো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ওই বৈঠকে চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,''একটা সম্প্রদায়কে নিয়ে চিঠি দিয়ে উচিত কাজ করা হয়নি। অসুবিধা হলে নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা যেত। চিঠি দিয়ে কী হবে?'' কাঁকিনাড়ায় পুলিস কম থাকায় শান্তি কমিটি করতে চাওয়া হয়েছিল বলে জানান সিদ্দিকুল্লা। আগামিকাল মাইনরিটি সেলের একটি দল যাবে সেখানে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধিরা।      



বৈঠকে সংখ্যালঘু নেতারা বলেন,''রাস্তায় রাতে আমাদের সম্প্রদায়ের ছেলেরা কিছু করলে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়''। বিনা হেলমেটে রাস্তায় বাইক চালালে বা কোনও ঝামেলায় সংখ্যালঘুরা যুক্ত হলে সংখ্যালঘু নেতারা যেত পাশে দাঁড়ান, সেই আর্জিও করেন নেতারা। 


মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাজ্য সরকার মুসলিমদের তোষণ করছে, এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে জনমানসে। অপরাধী মুসলিম হলেও যাতে ছাড় না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এর পিছনে বিজেপি কলকাটি নেড়েছে বলে দাবি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। তাঁর কথায়,''সবটা না জেনে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোনও সম্প্রদায়কে তোয়াজ করে না রাজ্য সরকার। সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য নানাভাবে প্রচার করছে বিজেপি। রাজ্যে পিছিয়ে থাকা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক ভারসাম্য বিগড়ে গিয়েছে: কৈলাস