নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ভর্তি-জট। যার জেরে রাতভর ঘেরাও হয়ে রইলেন উপাচার্য, সহ উপাচার্য সহ অন্য শিক্ষকরা। অবশেষে ১১ ঘণ্টা ঘেরাওয়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে উঠল অবস্থান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রবেশিকা বিতর্কের পর ফের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে যাদবপুরে। গত ৩ অগাস্ট ইতিহাসে প্রবেশিকা নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফল বেরলে দেখা যায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে এমন অনেক পরীক্ষার্থী প্রবেশিকাতে ১০-এর গণ্ডীও পেরয়নি। এমনকি সেই তালিকায় রয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম গ্রন্থন সেনগুপ্তও। উচ্চমাধ্যমিকে ইতিহাসে ৯৮ নম্বর পেয়েছিল গ্রন্থন। কিন্তু প্রবেশিকার ফলাফল বেরতে দেখা যায় গ্রন্থনের প্রাপ্ত নম্বর ৪। এই ঘটনায় নিজেই উদ্যোগ নিয়ে গ্রন্থনের খাতা পুনর্মূল্যায়ণ করেন কলা বিভাগের ডিন। যারপর প্রবেশিকায় গ্রন্থনের প্রাপ্ত নম্বর ৪ থেকে বেড়ে ৬৬-তে দাঁড়ায়।


আরও পড়ুন, একটা বছর সবচেয়ে প্রিয় বিষয়কে 'স্যাক্রিফাইস' করেই এল আশাতীত সাফল্য!


এই ঘটনা সামনে আসার পরই নতুন করে জট তৈরি হয়। প্রবেশিকায় পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার থেকেই ইতিহাস বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রবেশিকায় নম্বরের গরমিলের অভিযোগে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে সমস্ত উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ণের দাবি জানায় টিএমসিপি। ততদিন পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি জানায় তারা। এই প্রসঙ্গে ৬ অগাস্ট কলা বিভাগে ডিনের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।


এরপরই বুধবার রাত থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। একদিকে পুরনো তালিকার ভিত্তিতে ভর্তির দাবি জানিয়ে অবস্থান শুরু করে এসএফআই। পাশাপাশি, ডিন অফ হিস্ট্রি শুভাশিস বিশ্বাসের পদত্যাগেরও দাবি জানায় তারা। অন্যদিকে পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সরব হয় টিএমসিপি। বুধবার রাত থেকে ১১ ঘণ্টা ধরে চলে অবস্থান। রাতভর ঘেরাও থাকেন উপাচার্য, সহ উপাচার্য সহ অন্য শিক্ষাকর্মীরা।


আরও পড়ুন, নাতনির সামনেই দিনের পর দিন বউমাকে 'ধর্ষণ'-এর চেষ্টা শ্বশুরের, পরিণতি মর্মান্তিক


এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভোরে বিক্ষোভরত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ইতিহাসের প্রবেশিকার উত্তরপত্র ফের মূল্যায়ণের আশ্বাস দেন তিনি। জানান, পুনর্মূল্যায়ণের পর আগামী সোমবার, ১৩ অগাস্টের মধ্যে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই হবে ভর্তি। উপাচার্যের আশ্বাসের পরই অবস্থান তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন শুভাশিস বিশ্বাস।